কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইসলামপুর মহকুমায় এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে চোপড়া ব্লকের তিনমাইলের তাতু সিংহ স্মৃতি হাইস্কুলের ছাত্রী নিপু বিশ্বাস। সে মোট ৬৭৯ নম্বর পেয়েছে। তার এই ফলাফলে স্কুলের শিক্ষকরা সকলেই খুশি হয়েছেন। মেধা তালিকায় থাকা দশম স্থানাধিকারীদের থেকে মাত্র দু’নম্বর কম পেয়েছে সে। এদিন স্কুলে মার্কশিট আনতে গেলে শিক্ষকেরা তাকে সংবর্ধনা জানান।
নিপু বলে, আরও কিছু নম্বর বেশি পাব বলে আশা ছিল। আমার বাংলায় আশানুরূপ ফল হয়নি। বিজ্ঞান বিষয়ে গৃহশিক্ষক ছিল। বাকি বিষয়গুলি পরীক্ষার কয়েকমাস আগে শিক্ষকের কাছে পড়েছি। স্কুলের শিক্ষকেরা আমাকে সবসময়ে সাহায্য করেছেন। বিশেষ করে আমাদের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক অভিজিৎ পাল আমার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম বেঁধে পড়াশুনা করতাম না। আমি শিবমন্দিরের নরসিংহ বিদ্যাপীঠে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হব। নেট পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নেব। আমি চিকিৎসক হতে চাই।
ইসলামপুর ব্লকের জকতাগাঁও হাইস্কুলের হাফিজুর রহমান ৬৭৫ নম্বর পেয়েছে। মহকুমায় সে সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। হাফিজুর বলে, প্রতিটি বিষয়ে আমার গৃহশিক্ষক ছিলেন। ইসলামপুরে টিউশনি পড়তে যেতাম। আরও ভালো ফলের আশায় ছিলাম। বাংলায় কম নম্বর এসেছে। ইসলামপুর হাইস্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হব। ওর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন শিকদার বলেন, আমরা জানতাম হাফিজুল ভালো ফল করেবে। আমাদের আক্ষেপ অল্প কিছু নম্বরের জন্য ছেলেটি মেধা তালিকায় স্থান পেল না।
ইসলামপুর গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার ২২১ জন পরীক্ষায় বসেছিল। এরমধ্যে ২১৯ জন পাশ করেছে। সর্বোচ্চ ৬৬০ নম্বর পেয়েছে নীহারিকা ঘোষ। ইসলামপুর হাইস্কুলের ২৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৫ জন পাশ করেছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সায়নদ্বীপ কুণ্ডু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭। স্টেট ফার্ম কলোনি হাইস্কুল থেকে এবার ১৬৫ জন পরীক্ষায় বসেছিল। ১৪৬ জন পাশ করেছে। সর্বোচ্চ নম্বর ৬২৭ পেয়েছে ঋক দাস। মিলনপল্লি হাইস্কুলের গৌতম দাস ৫৭৪ নম্বর পেয়েছে। ওই স্কুল থেকে ১৪৭ জন পরীক্ষায় বসেছিল। ১১৫ জন পাশ করেছে।
এদিকে গ্রামীণ এলাকা চোপড়া হাইস্কুলে সর্বোচ্চ দীনেশ সিংহ ৬২২ নম্বর পেয়েছে। এখানে ২০৩ জন পরীক্ষায় বসে, পাশ করেছে ১৪১ জন। ডালখোলা হাইস্কুলের ১৯১ জন পরীক্ষার মধ্যে পাশ করেছে ১৩৩ জন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে শুভজিৎ মজুমদার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫১। চাকুলিয়ার শকুন্তলা হাইস্কুল থেকে ২০০ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। ১৫০ জন পাশ করেছে। সর্বোচ্চ ৫১৪ নম্বর পেয়েছে কুন্দন সিংহ। ঝিটকিয়া এসটি টোলি হাইস্কুলের ১৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। সর্বোচ্চ ৫৫৭ নম্বর পেয়েছে হরিদাস সরকার। রামকৃষ্ণপুর পিডিজিএম হাইস্কুল থেকে এবার ১০২ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। পাশ করেছে ৭৭ জন। সর্বোচ্চ ৫২৯ নম্বর পেয়েছে সৌরভ রায়।