কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালুরঘাট শহরের ডানলপ মোড়ের প্রসিদ্ধ আবির ব্যবসায়ী রূপায়ণ দত্ত বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আবির মজুত করেছি। কলকাতা থেকে ইতিমধ্যেই প্রচুর আবির নিয়ে এসেছি। আরও কিছু আজ-কাল আসবে। হাতে আর মাত্র দু’দিন। পাইকারি বিক্রি করছি। সবুজ ও গেরুয়া দুই আবিরই সমপরিমাণে মজুত আছে। পাইকারি দরে ভলো বিক্রিও হচ্ছে। তবে ফল ঘোষণার দিনই আমাদের মূল ব্যবসা। সেই দিনের দিকেই তাকিয়ে আছি।
যে কোনও ভোটের ফলাফলের দিন জয়ী দলের কাছে আবিরের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। মূলত তৃণমূল সরকার ক্ষমতার আসার পরে পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, লোকসভা বা পুরসভার ভোট— শাসক দলের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে আবির ব্যবসায়ীরা সবুজ আবির দেদার হারে বিক্রি করেছেন। তাঁরা অনেকেই জানিয়েছেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যে হারে একের পর এক নির্বাচনে সাফল্য পেতে থাকে তাতে সেসময় চাহিদামতো সবুজ আবির জোগান দেওয়াই মুশকিল হয়ে যেত। এভাবেই একসময় লাল আবিরের বাজার ছিল। তবে এবারে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে মূল লড়াই হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ধন্দে পড়েছেন। কে জিতবেন তা বুঝে উঠতে না পেরে কোন আবির বেশি মজুত করবেন সেনিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়েন। তাঁরা বলেন, বাজারে দু’টো দলেরই হাওয়া রয়েছে। সেইমতো শেষমেশ সবুজ ও গেরুয়া দুই আবিরই তাঁরা মজুত করেছেন। এতে বাধ্য হয়ে তাঁদের ব্যবসায় বাড়তি টাকা লগ্নি করতে হয়েছে। সবুজ এবং গেরুয়া আবিরও একই পরিমাণে ব্যবসায়ীরা কিনে রেখেছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে তারা নির্দ্বিধায় সবুজ আবির মজুত করতেন। এবারে ভোটের হাওয়া বুঝে বাজারে গেরুয়া আবিরও রাখতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, গ্রামগঞ্জের ব্যবসায়ীদের অনেকেই গেরুয়া আবির চাইছেন। যারা দুটো আবিরই কিনতে চাইছেন তাঁরাও তিন বস্তা গেরুয়া আবির কিনলে সবুজ আবির কিনছেন এক বস্তা। ফারাকটা এরকমই। এক্সিট পোল সামনে আসায় গেরুয়া আবিরের বিক্রি আরও বেড়ে গিয়েছে। এক্সিট পোলের মতো তাঁদেরও ধারণা বালুরঘাট লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থীর জয় হতে পারে। অন্যদিকে শহরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী সবুজ আবিরে ভরসা রাখছেন। তবে যাতে ব্যবসায় বড়সড় ক্ষতি না হয় সেই দিক নজর দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী কোনও আবির না কিনে শুধু টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং করে রাখছেন। ফল ঘোষণার দিন যে দল জিতবে সেই দলের পছন্দের আবিরই তাঁরা কিনে নিয়ে যাবেন। বালুরঘাট শহরের প্রকাশ্যে আবির বিক্রি এখনও শুরু না হলেও গোডাউনে আবির মজুত রয়েছে। সকলেই তাকিয়ে আছেন চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে। ব্যবসায়ীদেরও ধারণা এবার সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা হতে ভোর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে শুক্রবারেই মূল বিক্রি হবে।