রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান দেবস্মিতা বলে, এতটা ভালো রেজাল্ট হবে আমিও ভাবিনি। খুব ভালো লাগছে। বাবা মা দু’জনেই স্বাস্থ্যদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই আমার চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে চাই। এত বড় সাফল্যের পিছনে দেবস্মিতা বলে, লক্ষ্য ঠিক রেখে মন দিয়ে পাঠ্যপুস্তকটা ভালো করে পড়লেই সাফল্য আসবে।
তুফানগঞ্জ শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উদয় রোডে দেবস্মিতাদের বাড়ি। তার বাবা রঞ্জন সাহা তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত। মা মুক্তিমালা সরকারও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। দেবস্মিতা বাংলায় ৯৮, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৯, ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। পড়াশোনার বাঁধাধরা কোনও রুটিন ছিল না। যখন ভালো লেগেছে তখনই সে পড়াশোনা করেছে। তার ন’জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। ছবি আঁকতে ভালোবাসে দেবস্মিতা। রবীন্দ্রসংগীত তার খুব প্রিয়। তবে স্মার্টফোনে হোয়াটস অ্যাপ আর ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শতহস্ত দূরে থাকার চেষ্টা করেছে দেবস্মিতা। এবার তাঁর লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। ডাক্তার হয়ে গরিব মানুষের পাশেও সে দাঁড়াতে চায়। রঞ্জনবাবু বলেন, মেয়েকে আলাদা করে কোনওদিন পড়তে বসতে বলতে হয়নি। নিজের আগ্রহে পড়াশোনা করেছে। ওর জন্য আমরা গর্বিত।
দেবস্মিতার সহপাঠী গায়ত্রী মোদক তুফানগঞ্জ শহরের বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা। বাবা পেনু মোদক অসম পুলিসে কর্মরত। মা পূর্ণিমা মোদক গৃহবধূ। বোন হিমাদ্রি মোদক ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার জন্য লক্ষ্যস্থির করেছে গায়ত্রী। প্রতিটি বিষয়েই গায়ত্রীর গৃহশিক্ষক ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে গান শুনেছে, বাগান পরিচর্যা করেছে গায়ত্রী। গায়ত্রী বাংলায় ৯৮, ইংরাজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৭, ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। গায়ত্রী বলে, লক্ষ্যকে স্থির রেখে কঠিন পরিশ্রম করে যেতে হবে। সেটাই আমি করেছি।