পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পা আলি, সুভদ্রা দেবনাথরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে রয়েছে। এলাকায় লো-ভোল্টেজের জন্য কোনও কাজ করা যায় না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি থেকে ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার বসালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। ৬৫ কেভি ট্রান্সফর্মারের দাবি জানানো হলেও এখনও তা দিতে বণ্টন কোম্পানি গড়িমসি করছে। বাধ্য হয়ে আমরা এদিন রাস্তা অবরোধ করেছি। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দিনহাটা ডিভিশনের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বড় আটিয়াবাড়িতে ১৩২ কেভি সাব স্টেশন তৈরি হলেই লো-ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান হবে। ওই এলাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে।
গরম বাড়তেই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে ধানের জমিতে সেচের জলের জন্য গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ চালিত প্রচুর মোটর চলছে। ফলে সন্ধ্যার পর সর্বত্র লো-ভোল্টেজের সমস্যা বাড়ছে। দিনহাটা-১ ব্লকের বড় আটিয়াবাড়িতে বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে গত ১২ দিন থেকে ওই এলাকা বিদ্যুতহীন হয়ে রয়েছে। দুই আগে বণ্টন কোম্পানি ট্রান্সফর্মারটি বদলে নতুন ২৫ কেভির ট্রান্সফর্মার বসায়। নতুন ট্রান্সফর্মারের জেরেও লো-ভোল্টেজ সমস্যা মেটেনি। টিমটিম করে বাতি জ্বলছিল। সেচের জন্য মোটরও চলছিল না। টোটো চার্জ না হওয়ায় টোটো চালকরা সমস্যায় পড়ছেন। এদিন সেই ট্রান্সফর্মারটিও খারাপ হয়ে যায়। তাই নতুন করে ৬৫ কেভি ট্রান্সফর্মারের দাবি দপ্তরে জানানো হলে তারা তা দিচ্ছে না। এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যার জেরে গরমে কাহিল হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে তাঁরা এদিন পথ অবরোধ করে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দাবি, বড় আটিয়াবাড়িতে নতুন সাব স্টেশন না হওয়া পর্যন্ত লো-ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান হবে না। ১৩২ কেভির সাব স্টেশন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে রয়েছে। কিন্তু পশারিহাট থেকে ভেটাগুড়ি হয়ে বিদ্যুতের তার আনতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুতের সংযোগ না হওয়াতেই স্টেশনটি চালু করা যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত বিদ্যুত সরবরাহ না থাকায় লো-ভোল্টেজ সমস্যা হচ্ছে। লো-ভোল্টেজের কারনেই ট্রান্সফর্মারগুলি দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে।