যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
গোটা উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার মধ্যে একমাত্র এই কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমা শহরেই মানসিক রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার জন্য বাম আমলে একটি সরকারিভাবে মানসিক হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছিল। তারপর এক এক করে ১৫ বছর পার হয়ে গেলও হাসপাতালে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করা হয়নি। রোগীদের পরিবারের লোকজনদের পাশাপাশি তুফানগঞ্জ শহরের বাসিন্দারাও এই মানসিক হাসপাতালটিতে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার দাবিতে সরব হয়েছেন। ২০০৪ সালের আগস্টে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র এই মানসিক হাসপাতালটির উদ্বোধন করেছিলেন। রোগীদের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতাল চালু হলেও স্থায়ী চিকিৎসক এবং ইন্ডোর পরিষেবা চালু না হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তুফানগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের ফজলে করিম মিঁয়া বলেন, তুফানগঞ্জ শহরের বুকে থাকা মানসিক হাসপাতালে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কাজ চলছে। আশা করি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই ইন্ডোর পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে নির্বাচন বিধি উঠে গেলেই হাসপাতালে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এবিষয়ে বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, বামফ্রন্টের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস গোটা রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের ঝড় তুলেছে তা তুফানগঞ্জের এই মানসিক হাসপাতালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। আমাদের প্রার্থী লোকসভা ভোটে জিতলে আমরা মানসিক হাসপাতালটির পরিকাঠামো উন্নতির দিকে নজর দেব। হাসপাতালটির বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা তুফানগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তমসের আলি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন হাসপাতালটি চালু করে ১২০ বেডের ইন্ডোর বিভাগ চালু করার কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় এসে হাসপাতালটির দিকে কোনও নজর দেয়নি। এটা বর্তমান তৃণমূল সরকারের পুরোপুরি ব্যর্থতা।