পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে নানান গবেষণা প্রসঙ্গে মৌসম বলেন, কী পদ্ধতিতে এই বিচারগুলি করা হচ্ছে তা সম্পর্কে না জানলে এসবের যৌক্তিকতা বিচার করা কঠিন। তবে আমি রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে গিয়েছি এবং দেখেছি মানুষ এরাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চান। সেই নিরিখে মালদহের দু’টি আসনেই ভালো ফল হওয়া স্বাভাবিক। আর আমার নিজের আসন নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা নেই। আমি বিজেপি’কে রুখতে চেয়েই তৃণমূলে গিয়েছিলাম। মানুষ তা বুঝেছেন। ফলে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে, আমার স্বপক্ষে ভোট দিয়েছেন। উত্তর মালদহের একটি নিজস্ব রাজনৈতিক-সামাজিক সমীকরণ আছে। তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে তবেই ফলাফলের অনুমান করা সম্ভব। গত বিধানসভা নির্বাচনেই যেমন স্থানীয় সমীকরণ না বুঝে যাঁরা সমীক্ষা করেছিলেন তাঁদের সমীক্ষা মেলেনি তো বটেই অনেকক্ষেত্রে ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। হতে পারে এবারের সমীক্ষা ঠিক হয়েছে কিন্তু আমাদের নিজস্ব হিসাবও ত্রুটিহীন। আমি আত্মবিশ্বাসী। সবচেয়ে বড় কথা দু’দিন পরে ফলপ্রকাশ হবে। এখন সমীক্ষা নিয়ে চর্চার চেয়ে আমার কাছে গণনার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি অনেক জরুরি এবং আমি সেটাতেই ব্যস্ত আছি। উত্তর মালদহের মৌসমের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইশা খান চৌধুরী বলেন, ভোট নিয়ে ১০০ শতাংশ নির্ভুল গণনা আমি কখনও দেখিনি। ফলে ইভিএমবন্দি জনমত কংগ্রেসের পক্ষেই যাবে এটা আমাদের বিশ্বাস। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুকে জেতানো হয়েছে। খগেনবাবু বলেন, উত্তর মালদহে জয় তো বটেই, রাজ্যেও ভালো ফলে আমরা আশাবাদী। কোনও সমীক্ষার কারণে নয়, রাজনৈতিকভাবেই এটা আমাদের বিশ্বাস।
রাজনৈতিক মহল বলছে, উত্তর মালদহের সাতটি বিধানসভার নিজস্ব রাজনৈতিক-সামাজিক পরিসর আছে। এরমধ্যে পুরাতন মালদহ, হবিবপুর ও গাজোল চরিত্রগতভাবে একই রকম এবং হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, মালতীপুর, চাঁচলের চরিত্র অনেকটা এক। পুরাতন মালদহ, হবিবপুর ও গাজোলে বিজেপি’র ভোটব্যাঙ্ক আছে। কিন্তু বাকি চারটিতে বিজেপি’র ভোটব্যাঙ্ক নগণ্য। একইভাবে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, মালতীপুর, রতুয়াতে থাকলেও বাকি তিনটি বিধানসভাতে নগণ্য। কিন্তু মৌসমের তৃণমূল সাতটি বিধানসভাতেই ভদ্রস্থ ভোটব্যাঙ্কের মুখ্য নিয়ন্ত্রক। তা ছাড়া সমচরিত্রের তিনটি বিধানসভাতে সিপিএমের ফল সামান্যও ভালো হওয়া মানেই বিজেপি’র সমানুপাতিক ক্ষতি। তাতে তৃণমূল অতিরিক্ত সুবিধা পাবে। তাই ফলাফল যাই হোক তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসের পেছনে অঙ্কের বাস্তবতা স্পষ্ট।