কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, হরিরামপুর: সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে পানীয় জলের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আদিবাসী মহিলারা। এদিন হিলি-গাজোল ৫১২ নং জাতীয় সড়কের উপর জলের কলসি,বালতি, মগ নিয়ে হরিরামপুর থানার ডাবুপাড়া ও মিঠাপুকুর এলাকার কয়েকশো আদিবাসী মহিলা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। হরিরামপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলতে গেলে আদিবাসী মহিলারা পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত হরিরামপুরের বিডিও সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দিবা টুডু বলেন, কয়েকমাস ধরে আমাদের পাড়ায় পানীয় জলের সমস্যা চলছে। গোটা এলাকায় একটিই মাত্র টিউবওয়েল ছিল। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে টিউবওয়েলটি খারাপ থাকায় আমরা পুকুরের জল খাচ্ছি। বাড়ির শিশু থেকে গর্ভবতী মহিলা সকলেই পুকুরের জল খাচ্ছে। একাধিকবার প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। তীব্র গরমে পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় সেই জলও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রাণ বাঁচাতে এদিন আমরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। পুকুরের জল খেয়ে পাড়ার সকলের পেট খারাপ হচ্ছে। অনেকে জ্বরে ভুগছে। আমরা চাই দ্রুত আমাদের জীবন বাঁচাতে জলের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
গ্রামের মোড়ল চান্দলা মুর্মু বলেন, প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ডাবুপাড়ায় ও মিঠাপুকুর গ্রামের সমস্ত টিউবওয়েল খারাপ হয়ে রয়েছে। গ্রামে জল না থাকায় কেউ পুকুরের জল পান করছেন, কেউ কয়েক মাইল দূরে গিয়ে পানীয় জল আনছেন। পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। দূষিত জল খাওয়ায় গ্রামে রোগভোগ বাড়ছে। একের পর এক মানুষ পেটের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সব জায়গায় জলের সমস্যা তাই কিছু করার নেই বলে দায় এড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। হরিরামপুরের বিডিও বাসুদেব সরকার বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। গ্রামের সাধারণ মানুষ আমার কাছে একবারের জন্যও এই সমস্যার কথা জানাননি বা আসেননি। আমি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানতে চেয়েছি এত বড়ো সমস্যা হওয়ার পরেও কেন তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বা আমাকে কেন জানানো হয়নি। এদিন আমি গ্রামবাসীদের কথা দিয়েছি লোকসভা নির্বাচনের বিধি উঠে গেলেই পুরনো টিউবওয়েল মেরামত করার পাশাপাশি ও নতুন টিউবওয়েলও বসানো হবে। এর মাঝে গ্রামবাসীদের যাতে জল নিয়ে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে জলের রিজার্ভার বসানো হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের ডাবুপাড়া ও মিঠাপুকুর দুই গ্রামের শতাধিক আদিবাসী গ্রামবাসী পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। এদিন বিডিও’র কথা শোনার পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, একাধিকবার জানানোর পরও প্রধান কেন তা বিডিও’কে জানাননি? পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বিনোদিনী বর্মন বলেন, সমস্যার কথা জানার পর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ভোট এসে যাওয়ায় সেই কাজ করা যায়নি। ভোটপর্ব মিটলেই পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিবা টুডু বলেন, কয়েকমাস ধরে আমাদের পাড়ায় পানীয় জলের সমস্যা চলছে। গোটা এলাকায় একটিই মাত্র টিউবওয়েল ছিল। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে টিউবওয়েলটি খারাপ থাকায় আমরা পুকুরের জল খাচ্ছি। বাড়ির শিশু থেকে গর্ভবতী মহিলা সকলেই পুকুরের জল খাচ্ছে। একাধিকবার প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। তীব্র গরমে পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় সেই জলও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রাণ বাঁচাতে এদিন আমরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। পুকুরের জল খেয়ে পাড়ার সকলের পেট খারাপ হচ্ছে। অনেকে জ্বরে ভুগছে। আমরা চাই দ্রুত আমাদের জীবন বাঁচাতে জলের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
গ্রামের মোড়ল চান্দলা মুর্মু বলেন, প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ডাবুপাড়ায় ও মিঠাপুকুর গ্রামের সমস্ত টিউবওয়েল খারাপ হয়ে রয়েছে। গ্রামে জল না থাকায় কেউ পুকুরের জল পান করছেন, কেউ কয়েক মাইল দূরে গিয়ে পানীয় জল আনছেন। পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। দূষিত জল খাওয়ায় গ্রামে রোগভোগ বাড়ছে। একের পর এক মানুষ পেটের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সব জায়গায় জলের সমস্যা তাই কিছু করার নেই বলে দায় এড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। হরিরামপুরের বিডিও বাসুদেব সরকার বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। গ্রামের সাধারণ মানুষ আমার কাছে একবারের জন্যও এই সমস্যার কথা জানাননি বা আসেননি। আমি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানতে চেয়েছি এত বড়ো সমস্যা হওয়ার পরেও কেন তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বা আমাকে কেন জানানো হয়নি। এদিন আমি গ্রামবাসীদের কথা দিয়েছি লোকসভা নির্বাচনের বিধি উঠে গেলেই পুরনো টিউবওয়েল মেরামত করার পাশাপাশি ও নতুন টিউবওয়েলও বসানো হবে। এর মাঝে গ্রামবাসীদের যাতে জল নিয়ে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে জলের রিজার্ভার বসানো হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের ডাবুপাড়া ও মিঠাপুকুর দুই গ্রামের শতাধিক আদিবাসী গ্রামবাসী পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। এদিন বিডিও’র কথা শোনার পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, একাধিকবার জানানোর পরও প্রধান কেন তা বিডিও’কে জানাননি? পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বিনোদিনী বর্মন বলেন, সমস্যার কথা জানার পর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ভোট এসে যাওয়ায় সেই কাজ করা যায়নি। ভোটপর্ব মিটলেই পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।
