গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল ও বিশেষজ্ঞদের মতে প্রবল গরমের কারণেই ভোটারদের মধ্যে ভোটদানে আগ্রহের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি সদ্য একটি নির্বাচন হয়ে যাওয়া, এই নির্বাচনে সেঅর্থে পালাবদলের কোনও বিষয় না থাকার কারণেও ভোটারদের মধ্যে বিপুল উৎসাহের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। বিকেলে রোদ পড়ে যাওয়ার পরে গ্রামীণ মানুষ কিছুটা আগ্রহী হওয়ায় ভোটদানের হার আচমকা খানিকটা বেড়ে যায়।
এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমল কিস্কু বলেন, প্রাকৃতিক কারণেই ভোটদানের হার কিছুটা কম হয়েছে। তবে বিধানসভায় যা ভোট পড়েছে সেটাই মোটামুটিভাবে এই এলাকায় ধারাবাহিকভাবে হয়ে থাকে। দুপুরে রোদের কারণে ভিড় কম হলেও বিকেলে অনেকটা ভিড় দেখা গিয়েছে। বিজেপির প্রার্থী জয়েল মুর্মু বলেন, মানুষ একসঙ্গে ভোট দিতে না এলেও আলাদা আলাদাভাবে প্রতি মূহূর্তে এসেছে। তাতে ভিড় না হলেও ভোটদান বন্ধ থাকার মতো ঘটনা ঘটেনি। সিপিএমের প্রার্থী সাধু টুডু বলেন, একদিকে প্রবল রোদ অন্যদিকে গ্রামীণ মানুষের ওপরে এই ভোট চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁদের আগ্রহ কম ছিল। এটা হওয়ারই ছিল। বিশেষ করে সকাল সকাল ভোটদানের যে প্রবণতা মালদহে দেখা যায় তা এই ভোটে ছিল না।
ভোটদানের জন্য সেভাবে ভিড় না থাকার মধ্যে ব্যতিক্রমী ঘটনাও আছে। মধ্যম কেন্দুয়ার বুথে সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছিলেন প্রকাশ সিংহ। সদ্য গত শুক্রবার তাঁর মা প্রয়াত হয়েছেন। তারপরেও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। বলেন, মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন যেমন করছি তেমনি নিজের অধিকার প্রয়োগ করার দায়িত্বও পালন করেছি।
প্রবল দাবদাহের কারণে হবিবপুর নির্বাচনে ভোটদানে মানুষ আগ্রহ হারাতে পারেন এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক মহল আগেই করেছিল। রবিবার ভোটের দিন প্রবল দাবদাহ ছিল। প্রায় ৪১ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা নিয়ে সকাল থেকে চড়া রোদে ভোটদানে প্রভাব ফেলে। বুলবুলচণ্ডী থেকে পাকুয়ার দীর্ঘপথের অন্তত ১০০টি’রও বেশি বুথের কোথাও দুপুর পর্যন্ত লাইন সেভাবে চোটে পড়েনি। তবে রোদ পড়ার পর শেষপর্যন্ত ভোটদানের হার ৭০ পেরিয়ে যাওয়ায় যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলিও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।