বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দম্পতির দাবি, সহজপাঠের সঙ্গে বহু মানুষের ছোট বেলার স্মৃতি জড়িত। তাই সেটা দিয়েই আমন্ত্রণ জানানোর কথা তাঁরা ভেবেছেন। আবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বিষয়টি মনের গভীরে দাগ কেটেছে। সেই কারণে বর্ণপরিচয়কে আমন্ত্রণ পত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন তাঁরা। দেবশিসবাবু বলেন, ছেলের অন্নপ্রাশনে সহজপাঠ দিয়ে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলাম। অনেকের ছোটবেলার স্মৃতি এই বইয়ের সঙ্গে জড়িত। এখনকার অনেক শিশু হয়তো জানবেই না, আমরা ছোট বেলায় কী পড়তাম। অনেক অভিাভাবক আবার ইংরেজি শিক্ষার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এরমধ্যেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা সামনে আসে। এটা মানতে পারিনি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিদ্যাগরের কীর্তিকে স্মরণ করতে আমরা ছেলের অন্নপ্রাশনের কার্ডের ধরন বদলে ফেলি। আমরা বর্ণপরিচয় দিয়ে আমন্ত্রণ শুরু করেছি। দেবাশিসবাবুর শ্বশুর তাপসকুমার মণ্ডল বলেন, আমার নাতির অন্নপ্রাশনের আমন্ত্রণ পত্রটি অভিনব ভাবে করার বিষয়ে জামাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করছিলাম। সেই সময়েই হঠাৎ মনে হয় সহজপাঠ দিয়ে সকলকে আমন্ত্রণ জানালে কেমন হয়? সেই মতো বই কিনে তা দিয়েই আমন্ত্রণ করা শুরু হয়। এর মধ্যেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটে। আমরা বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় বইটি দিয়ে আমন্ত্রণ করতে শুরু করি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মী দেবাশিসবাবু বলেন, ছেলের নাম রেখেছি কেশব। কয়েক মাস আগেই জন্ম হয়েছে। অন্নপ্রাশন দিচ্ছি ২৪ মে। অন্নপ্রাশনের জন্য আত্মীয়-বন্ধুদের নিমন্ত্রণের পালা চলছে। কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা নাড়া দিয়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে শিশুদের নিয়েই কাজ করতে হয়। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও শিশু শিক্ষা আলাদা করা যায় না। তাঁর মূর্তি ভাঙার পর থেকে মনটা খারাপ হয়ে যায়। তখনই বর্ণপরিচয় দিয়ে কার্ড করার বিষয়টি মাথায় আসে। শ্বশুরমশাইও একই বিষয় তোলেন। বর্ণপরিচয় বইটির মলাটের ভিতরে আলাদা একটি আমন্ত্রণ পত্রজুড়ে এই নিমন্ত্রণ পত্রটি তৈরি করা হয়েছে।