পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, কানাইয়া খুবই ভালো ছেলে। নেতৃত্বের কথা শোনে। দলের জন্য ও অনেক ত্যাগ করেছে। আমি আবার দলে ফেরাতে দলের সকলেই খুশি হয়েছে। অনেকে মনে মনে প্রার্থনা করেছিল আমি যেন আবার দলে ফিরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে আমরা নাম ঘোষণা করতেই সকলে আনন্দ পেয়েছে। কানাইয়াও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, করিম সাহেব অনেক সিনিয়র লিডার। তিনি আবার দলে ফিরেছেন। আমরা একসঙ্গে প্রচারে আছি। নিচুতলার কর্মীরাও খুবই খুশি হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই করিম সাহেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভাতে স্থান পান। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হন। এখান থেকেই ইসলামপুরের রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট আসে। দলবদলের খেলায় নানান পরিবর্তন দেখে এখানকার মানুষ। কংগ্রেসের কাউন্সিলার মুজাফ্ফর হুসেন করিম সাহেবের হাত থেকে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে দলবদল করে। এর পরে বিজেপির দুই কাউন্সিলারও তৃণমূলে চলে আসেন। আরও কয়েকজন তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিল। এক সময় পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখনও কানাইয়া কংগ্রেসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, চেয়ারম্যান পদ বাঁচানোর জন্য দলবদল করা ছাড়া কানাইয়ার সামনে অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। কিন্তু করিম সাহেব তাঁকে দলে ঢুকতে দেবেন না। কানাইয়াবাবু কলকাতায় গিয়ে দলবদল করেন। প্রতিবাদে করিম সাহেব সরব হন। শহরে তিনি প্রতিবাদ মিছিল করেন। কিন্তু নেতৃত্ব তাতে গুরুত্ব দেয়নি। দল কানাইয়া ও করিম দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়। ইসলামপুর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কানাইয়া ও করিম দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল হয়। করিম সাহেবকে কলেজের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। করিম দল ছাড়েন। মুজাফ্ফর আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। এবার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন মুজাফ্ফর। এদিকে প্রায় তিন বছর দলের বাইরে থাকার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করিমকে উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আবার ইসলামপুরের রাজনীতি বাঁক নেয়। সামনে আসেন করিম। একদা সাপে-নেউলে সম্পর্ক ভুলে করিম-কানাইয়াকে একই সঙ্গে প্রচারে দেখে ইসলামপুর। আর তাতেই ঝড় ওঠে। করিমের কার্যত ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকেন একদা প্রতিদ্বন্দ্বী কানাইয়া। প্রভাব পড়ে দলের কর্মীদের মধ্যেও। নতুনরা যেমন করিমের হয়ে প্রচারে থাকেন তেমনি অনেক বসে যাওয়া তৃণমূলীরাও এবার করিমের হয়ে ময়দানে নেমে পড়েন। দলও বিশ্বাস করতে শুরু করে করিম-কানাইয়া জুটিই এই নির্বাচন তাদের পার করে দেবে। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই রূপ আসলে ভেক। ভিতরের দ্বন্দ্ব যাতে প্রকাশ না পায় তারজন্যই এই লোক দেখানো ফটো শট হয়েছে। তলে তলে ভোট যাবে অন্য জায়গায়। এই যাবতীয় দাবি, আর বিরোধিতার জবাব অবশ্য আজই বাক্সবন্দি হয়ে যাচ্ছে। ফল জানা যাবে ২৩ মে।