যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রাজবাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট সুনীল কুমার ঝা বলেন, আমাদের পুলিস প্রশাসন থেকে ১২টি নারায়ণী মুদ্রা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ধারণা এগুলি সিদ্ধেশ্বরীর নারায়ণী মুদ্রা নয়। সেগুলিকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অরূপজ্যোতিবাবু বলেন, সিদ্ধেশ্বরীর মুদ্রা হস্তান্তর হলে গ্যালারি খোলার ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে। এই মুদ্রা হস্তান্তর করা হোক।
এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতোয়ালি থানার মালখানা থেকে ১২টি নারায়ণী মুদ্রা গত ১৮ মার্চ জেলা পুলিস প্রশাসন রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে। সেই মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করে এএসআইয়ের আধিকারিকরা অনেকেটাই নিশ্চিত সেগুলি সিদ্ধেশ্বরীতে প্রাপ্ত মুদ্রা নয়। এগুলির উপাদান, ছবি সিদ্ধেশ্বরীর সঙ্গে মিলছে না। পুরনো নথিপত্র ঘেঁটে এএসআই জানতে পারে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে কোচবিহার-২ ব্লকের বাণেশ্বর সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরীতে একটি স্কুলের পিছনে মাটির নীচে একটি ধাতব কৌটোর মধ্যে প্রচুর নারায়ণী মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। ওই বছরই ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর সেই নারায়ণী মুদ্রা কোতোয়ালি থানার মালখানাতে রাখা হয়েছিল। সেই মুদ্রারই খোঁজ করছে এএসআই কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, যে ১২টি মুদ্রা পুলিস প্রশাসন দিয়েছে সেগুলি সম্ভবত অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেকারণেই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়ে গত ২ মে সংস্থার রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছে। জেলা প্রশাসনও এব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এএসআইয়ের আধিকারিকদের ধারণা, থানার মালখানা এতটাই আগোছালো রয়েছে যে মুদ্রাগুলিকে যথাযথভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণী মুদ্রার প্রতি বাসিন্দাদের বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। সেকারণেই রাজবাড়িতে মুদ্রা গ্যালারি খোলার ব্যাপারে তোড়জোড় চলছে। কিন্তু মুদ্রা গ্যালারি খোলার জন্য পর্যাপ্ত মুদ্রার প্রয়োজন। বিগত দিনে ২৭টি মুদ্রা পুলিসের কাছ থেকে রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষ পেয়েছিল। কিন্তু গ্যালারি সাজানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। এদিকে কোচবিহারের বাসিন্দা অনেকের কাছেই নারায়ণী মুদ্রা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে থানার মালখানাতে থাকা মুদ্রাগুলি হস্তান্তর করে সেগুলি দিয়েই মুদ্রা গ্যালারি সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। মূলত রাজ আমলের মুদ্রার বিবর্তনগুলিকেও সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে তৎকালীন সময়ের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা সম্পর্কেও পরিচয় পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ আমলে কোচবিহারে নারায়ণী মুদ্রার প্রচলন হয়েছিল। টাকাগাছ এলাকায় মুদ্রা তৈরির টাঁকশাল ছিল।