বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিশুদের রাতকানা রোগ, অন্ধত্ব না আসা ও শরীরের বৃদ্ধির প্রয়োজনে ভিটামিন-এ অয়েল দেওয়া হয়। বাসিন্দারা বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে তা না পাওয়ায় শিশুদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে নিয়মিত ভিটামিন-এ অয়েল দেওয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত জোগান নেই, তাই দেওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছুদিন থেকে দেখছি শিশুদের চোখ থেকে জল পড়েছে। সকালে শিশুরা ঘুম থেকে উঠলে তাদের চোখ বন্ধ হয়ে থাকছে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার এক স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন-এ’র ঘাটতি মেটাতে ভিটামিন-এ অয়েল দেওয়া হয়। কিছুদিন ধরে সেই পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুনেছি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকেই সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে। পুরসভাতেও ওই ভিটামিন তেল নেই। মানিকচক ব্লকের বিএমওএইচ হেম নারায়ণ ঝা বলেন, ভিটামিন-এ অয়েল বেশ কিছুদিন আগে সরবরাহ একটু কম ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছি শিশুদের তা দেওয়া হচ্ছে। গাজোলের বিএমওএইচ সুজন অধিকারী বলেন, ভিটামিন-এ অয়েল সরবরাহ মাঝে কমে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে বলতে পারব। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশুদের ছ’বছর বয়স পর্যন্ত ভিটামিন-এ অয়েল খাওয়ানো হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমেও ভিটামিন-এ সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি, জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই ভিটামিন তেলের জোগান বন্ধ থাকায় শিশুদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে।