কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জয়ন্তবাবু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। এবার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ২০১১ সালে এই কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। রাজ্যে পালাবদলের সেই ভোটে সিপিএম প্রার্থী ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য হারতে পারেন তা অতি বড় তৃণমূল সমর্থকও কল্পনা করতে পারেননি। কাজের নিরিখে ও শিলিগুড়িতে জনপ্রিয়তার বিচারে সেবার অশোকবাবুই‘ফেভারিট’ ছিলেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে প্রায় ছয় হাজার ভোটে জিতে চমক দিয়েছিলেন রুদ্রবাবু।
রুদ্রবাবুর পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সেই কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন আরেক চিকিৎসক জয়ন্তবাবু। দল ও ভোট ভিন্ন হলেও এবার জয়ন্তবাবুর জয় পরাজয় নিয়ে আলোচনায় রুদ্রবাবুর চমকপ্রদ জয়ের কথাই উঠে আসছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভোট নিয়ে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের আলোচনায় কান পাতলেও সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়ে রুদ্রবাবুর জয়কে সামনে রেখে জয়ন্তবাবুর জয়ের সম্ভবনা নিয়ে চর্চা শোনা যাচ্ছে। এই সংস্কারের মূলদিক, রুদ্রবাবুর মত জয়ন্তবাবুও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎক ছিলেন। দু’জনেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। রুদ্রবাবুর মতো বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তবাবুও রাজনীতিতে পরিচিত নাম নন। অশোক ভট্টাচার্যের মতো জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মনও পরিচিতিতে কিছুটা হলেও বিজেপি প্রার্থীর থেকে এগিয়ে রয়েছেন। রুদ্রবাবুও এই পরিস্থিতিতেই জিতে চমক দিয়েছিলেন। তাই জয়ন্তবাবুও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হওয়ায় তিনিও তাঁর কর্মস্থলের যশে চমক দিতে পারেন কি না তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এই সংস্কারের দিকটি জয়ন্তবাবুও গুরুত্ব দিচ্ছেন। জলপাইগুড়ির এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, কর্মস্থলে রুদ্রবাবু আমার গুরু ছিলেন। তাঁর মতো আমিও একই বিভাগে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছি। সংস্কারকে অস্বীকার করতে পারছি না। তাই ভিন্ন দল হলেও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে যশে গুরুর মতো জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। প্রার্থী হওয়ার আগে বিজেপি বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আরএসএস ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই জয়ন্তবাবু এবার জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বিজেপি’র টিকিট পেয়েছেন। একথা জনয়ন্তবাবু নিজেই স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতির বিভিন্ন দিক প্রতিদিন একটু একটু করে শিখছি। তাই ভোট হওয়ার পরও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশছি। ভোটের প্রচারে যাদের কাছে যেতে পারিনি এখন তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই শিখছি। সামনে আরও অনেক ভোট রয়েছে। তাই যদি নাও জিতি তাহলেও এই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।