বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১০ বছর আছে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়। তারপর সব ঠিকঠাকই চলছিল। ওই বিদ্যুতের তার একজনের বাড়ির ওপর দিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ঝড় হয়। সেদিন থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। কয়েকদিন পরেও বিদ্যুৎ না আসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। যে বাড়ির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎবাহী তার গিয়েছে সেই বাড়ির মালিক তার নিতে বাধা দিয়েছেন। সেকারণেই এই সমস্যা হয়েছে। এটা আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি। অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে।
প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় আমি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়ে আলোচনা করে এসেছি। দপ্তর থেকে আমাদের জানিয়েছে, ওই তারটি একটি বাড়ির ওপর দিয়ে গিয়েছে। সেটিকে অন্যদিক দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেজন্য দুই-তিনটি খুঁটির দরকার আছে। বিদ্যুৎ দপ্তর থেকেই তা করে দেওয়া হবে। এরপরেও গ্রামের মানুষ ভোট বয়কট করার কথা কেন ঘোষণা করলেন জানি না। আমি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলব যাতে তাঁরা ভোট বয়কট না করেন।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের আলগুনা বিবির স্বামী মহম্মদ ইজাবুদ্দিন বলেন, তারটি ঝড়ে ছিঁড়েছে না যে বাড়ির ওপর দিয়ে গিয়েছে সেই বাড়ির মালিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তা বলতে পারব না। এক-দু’দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে বিদ্যুৎ দপ্তর আমাদের বলেছে। কিন্তু গ্রামবাসী এরপরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন জানি না।
বছর দশেক আগে ফাঁকা জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর বিদ্যুৎবাহী তার নিয়ে যায়। অভিযোগ, অনেকদিন পরে ওই তারের নিচে একজন বাড়ি তৈরি করেন। ওই বাড়ির মালিকই বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয় লোকজন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েও সম্প্রতি সমস্যার কথা জানিয়ে আসেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রাক্তন বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকেও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কানাইয়ালালবাবু গ্রামের লোকদের নিয়ে ইসলামপুরে বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে যায়। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপরেও গ্রামে বিদ্যুৎ না আসায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। তাই তারা এমন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৩ তারিখ থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, জনপ্রতিনিধিরা সঙ্গে ছিলেন। তারপরেও গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। ভোটের আগে বিদ্যুৎ সংযোগ করা না হলে তাঁরা ভোট দেবেন না। গ্রামের ৭৫টি পরিবার সমস্যায় পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলেমেয়েরা রাতে পড়াশুনা করতে পারছে না। সন্ধ্যা নামতেই গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।