বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আবহাওয়া কিছুটা মনোরম থাকায় শেষ দিনের প্রচারে এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। এদিন সকাল সকাল বামনগোলার পাকুয়াতে বড় মিছিল করে বিজেপি। বিজেপি’র স্থানীয় নেতৃত্ব এলাকার দীর্ঘপথ পরিক্রমা করে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে। দলের পরিকল্পনা অনুসারে দ্বিতীয় বড় মিছিলটি দুপুরে মালদহের হবিবপুরে হয়েছে। সেখানে প্রার্থী জয়েল মুর্মু নিজেই উপস্থিত ছিলেন। দুই এলাকায় মিছিলের মাধ্যমে এদিন প্রচার শেষ করে বিজেপি। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এদিন প্রচারের বহুমুখী কৌশল নিয়েছিল। দলের প্রার্থী অমল কিস্কু নিজে হবিবপুরের আকতৈল এলাকায় শেষদিনেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। দলের একঝাঁক নেতাকর্মীকে নিয়ে সেই প্রচারও ছিল চমকদার। প্রচারের শেষদিনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তো বটেই জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনও প্রচারে নেমে পড়েছিলেন। এদিন দুপুরে তিনি বামনগোলার পাকুয়াহাটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে বিরাট সভা করে প্রচার করেন। পরে হবিবপুরে ব্লকে এসে প্রচার করেন। তৃণমূলের একঝাঁক জেলা নেতা এদিন হবিবপুরের কেন্দপুকুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি মডেল ইভিএম মেশিন নিয়ে গিয়ে প্রচার সারেন। সেই প্রচার কার্যত বড় আকারের বর্ণময় মিছিলের চেহারা নিয়েছিল। শেষদিনে সিপিএমের প্রার্থী প্রবীণ সাধু টুডু সারা দিনে গোটা বিধানসভা ঘুরে বুথকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার ফাঁকে কিছু কিছু এলাকায় প্রচার করেন। প্রচারের শেষদিন শুক্রবার হবিবপুরের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন কংগ্রেসের প্রার্থী রেজিনা মুর্মু। বস্তুত বাম থেকে ডান সবদলই এদিন প্রচারের শেষমুহুর্ত পর্যন্ত নিজেদের পরিকল্পনা মোতাবেক জোরদার প্রচার করেছে।