রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
যদিও স্বাভাবিক নিয়মেই সকলেই নিজেদের জয়ের দাবি করতে ছাড়ছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যনেত্রী মৌসম নুর বলেন, বিভাজনের রাজনীতির অপচেষ্টাকে লোকসভা নির্বাচনেই আমরা রুখে দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব যেভাবে মাটি কামড়ে ওই বিধানসভা নির্বাচনের জন্যে কাজ করছেন তাতে লালমাটিতে ঘাসফুল ফোটাটাই স্বাভাবিক। আমাদের নেত্রী এখানে বিধায়ক না থাকার পরেও একের পর এক স্থানীয় মানুষের চাহিদায় প্রকল্প করেছেন। আরও অভাবিত উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন। হবিবপুর, বামনগোলার মানুষ বিচক্ষণ, তাঁরা জানেন নির্বাচন উন্নয়নের জন্যে। তাই আমরা জয় নিয়ে নিশ্চিত আছি। বিজেপি’র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, হবিবপুরের মানুষ রাজ্য সরকারের অপশাসন, কুশাসন, অনিয়মের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। গত পঞ্চায়েতে এখানকার মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট হবে। ফলে মানুষ রাজ্য সরকারের যাবতীয় অনাচারের যোগ্য জবাব দেবেন। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, হবিবপুরের মাটি লাল, এখানকার মানুষের চিন্তায় চেতনায় বামপন্থীরা বাস করেন। যে হাওয়াই থাকুক না কেন দিনের শেষে মানুষ নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পুরনো সঙ্গী বামেদের উপরেই ভরসা রাখবে। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, মানুষই আমাদের সংগঠন, তাঁরাই হবিবপুরে ইতিহাস গড়ে দেবেন।
হবিবপুরের উপনির্বাচনের আগে এবার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে ওই বলয়ের আদিবাসী-রাজবংশী ভোটের অধিকার পাওয়াটা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই অনেকটা জমি তৃণমূল মজবুত করে ফেলেছিল। এরপরে উপনির্বাচন আসতেই সদ্য চষে ফেলা জমিতে নিপুন পরিকল্পনা নিয়ে তৃণমূল নেমে পড়ে। এই বলয়ের অন্যতম নিয়ন্ত্রক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একছাতার তলায় আনা থেকে ছোট ছোট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পোড় খাওয়া ভোটকরিয়ে নেতাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে নির্বাচনের ঠিক মুখে এসে তৃণমূল নেতৃত্বর আত্মবিশ্বাস আকাশ ছুঁয়েছে। অন্যদিকে, গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই এই বলয়ের কর্তৃত্ব দাবি করে আসা বিজেপির মূল ভরসা ছিল হাওয়া আর সামাজিক বিভাজন। যা উপনির্বাচনে এসে রাজ্য সরকারের বিরোধীতাতে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ফলে বাস্তবের রণাঙ্গনে হাওয়া খুব বেশি প্রভাবশালী হতে পারেনি। যা বিজেপি’কে ভোগাতে পারে। একদা লালদূর্গে সিপিএম থাকলেও সেইটি কতটা প্রভাবশালী হতে পারবে তা নিয়ে প্রবল বামসমর্থকেরও সন্দেহ আছে। আর কংগ্রেস হবিবপুর বিধানসভার নিরিখে কখনই তেমন প্রভাবশালী ছিল না। বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় নিজেদের বাস্তব পরিস্থিতি যাচাইটাই তাদের একমাত্র সম্বল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করে।