বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রেশন গ্রাহক মকবুল হোসেন, জহিরুল হক বলেন, মাঝেমধ্যেই খারাপ চাল দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে ডিলারদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা সরাসরি জানিয়ে দেন যে চাল এসেছে সেই চালই দেওয়া হচ্ছে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটায় দু’দিন ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এরপরেই ভালো চাল দিতে রেশন ডিলাররা বাধ্য হন। আগামী দিনে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করা হলে ফের আন্দোলন হবে।
স্থানীয় এক রেশন ডিলার মোজাম্মেল হক বলেন, গোডাউন থেকে আসা চাল বস্তার ভেতর থাকার কারণে আগে অনুমান করা যায় না সেটি ভালো না মন্দ রয়েছে। এবার বেশকিছু বস্তায় চাল খারাপ এসেছে। সেই কারণেই এমন সমস্যা হয়েছে। আমরা সবটাই ওপরমহলে জানিয়েছি। গ্রাহকদের মধ্যে এনিয়ে সামান্য অসন্তোষ ছড়িয়েছিল। যাঁরা খারাপ চাল পেয়েছিলেন খাদ্যদপ্তরের নির্দেশে পরবর্তীতে ওসব চাল ফেরত নিয়ে ভালো চাল দিয়েছি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের উত্তর দিনাজপুর জেলার সম্পাদক কমল সরকার বলেন, কয়েক জায়গায় রেশনে গ্রাহকদের খারাপ চাল দেওয়া হয়েছিল। তবে পুনরায় তা ফেরত নিয়ে ভালো চাল দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ডিলারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, হেমতাবাদ ব্লকে রেশনে খারাপ চাল দেওয়ার বিষয়ে আমি এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে এব্যাপারে খোঁজখবর করব। রেশন দোকানে আমরা যে চাল সরবরাহ করি তা কখনই খারাপ মানের দেওয়া হয় না।
ফুড ইন্সপেক্টর সুমন্ত গোস্বামী বলেন, ডিলাররা খারাপ চাল যেসব গ্রাহকদের ইতিমধ্যেই সরবরাহ করেছে তা ফেরত নিতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের ভালো চাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারেও বিভিন্ন রেশন দোকানে খারাপমানের চাল গ্রাহকদের দেওয়া হয়। এরপরেই হেমতাবাদ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা রেশন দোকানের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে অবশ্য একপ্রকার চাপে পড়েই ডিলাররা ওসব নিম্নমানের চাল ফেরত নিয়ে ভালো চাল দেন। হেমতাবাদ ব্লকের ভাতসিয়া, গুঠিন, নুরপুর, বলাইগাঁও, মাজদিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় রেশনে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। এরই ফলস্বরূপ দু’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ফুড ইন্সপেক্টর বিভিন্ন এলাকায় যান। তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে কথাও বলেন। তিনিও মেনে নেন পুরনো চাল আসাতেই এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ওই আধিকারিক সমস্ত ডিলারকে গ্রাহকদের সরবরাহ করা নিম্নমানের চাল ফেরত নিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং পরিবর্তে গোডাউন থেকে ভালো চাল এনে তা দেওয়ার কথা বলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর নির্দেশের পরে শুক্রবার কয়েক জায়গায় খারাপ চাল ফেরত নিয়ে ভালো চাল দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক জায়গায় খারাপ চালই দেওয়ায় এদিন ওসব জায়গায় বিক্ষোভ হয়।