কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির পুরাতন মালদহ নগর মণ্ডল সভাপতি চন্দন দে বলেন, এই পুরসভা অনেটাই পিছিয়ে আছে। এখানে ১০ বছর বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। গত ন’বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কেউই এই শহরকে ভালোবেসে উন্নয়ন করেনি, করছে না। পুরসভা তাদের ১৫০ বছর উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নানা অনুষ্ঠান করেছে। কিন্তু অডিটোরিয়াম, পার্ক, স্টেডিয়াম করার ব্যাপারে ভাবেনি।
পুরাতন মালদহ শহর কংগ্রেসের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস বলেন, এই পুরসভা বয়সে প্রাচীন হলেও নাগরিকরা সেঅর্থে পরিষেবা পান না। এই পুরসভাকে বামেরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত করে রেখেছিল। তৃণমূল এসেও নাগরিকদের ন্যায্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এখানে কেউ শিল্প গড়তে এগিয়ে আসেনি। আসলে পুরসভা উদ্যোগ নেয় না। সেকাণেই পুরসভা পিছিয়ে আছে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের কার্তিক ঘোষ বলেন, ইংলিশবাজার পুরসভার তুলনায় আমাদের পুরসভা অনেকটাই পিছিয়ে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবুও আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক কাজ করেছি। নাগরিক পরিষেবা উন্নত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকা হচ্ছে, শহর সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মহানন্দা নদীর তীরে দু’দিকে দু’টি শহর অবস্থিত। ইংলিশবাজার বহু ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও পুরাতন মালদহ পুরসভা সবদিক থেকেই পিছিয়ে আছে। পুরাতন মালদহ পুরসভায় বড়মাপের কোনও পার্ক নেই। এখানকার ছেলেমেয়েরা রাজ্যস্তরের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতে। কিন্তু খেলাধুলোর জন্য এখনে ভালো কোনও স্টেডিয়াম করা হয়নি। অথচ পাশের ইংলিশবাজার পুরসভায় সব কিছুই আছে। এর জন্য পুরাতন মালদহ পুরবাসীকে তাই পার্শ্ববর্তী ইংলিশবাজার পুরসভায় যেতে হয়। এনিয়ে শহরবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ জমে আছে। বিভিন্ন সময়ে এই পুরসভায় বামেরা ছিল। বর্তমানে তৃণমূল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই রাজনৈতিক দলের ওপর বাসিন্দাদের অসন্তোষ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মালদহে দু’টি পুরসভা রয়েছে। একটি ইংলিশবাজার অন্যটি পুরাতন মালদহ। ১৮৫৬ সালে চৌকিদারি ইউনিয়ন মর্যাদায় ৩১টি গ্রাম নিয়ে পুরাতন মালদহ তৈরি হয়। ১৮৬৯ সালে পুরাতন মালদহ পুরসভার মর্যাদা পায়। শুরুতে এখানে তিনটি ওয়ার্ড ছিল। এখন ২০টি ওয়ার্ড হয়েছে। নবাবগঞ্জ থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এই পুরসভা ৯.৫৮ বর্গ কিমিজুড়ে বিস্তৃত আছে।