রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রামু ছেত্রি, নারায়ণ ছেত্রি ও গোপাল ছেত্রি বলেন, এই গ্রামে হাতির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। এই ডায়নার জঙ্গল থেকেই বিকাল বেলাতেই হাতির দল বেরিয়ে পড়ত। রাতে হাতির দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমনভাবে হামলা চালাত যে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়তাম। বাড়ি ঘর তো ভাঙচুর করতই, জমির ফসলও খেয়ে নষ্ট করে দিয়ে যেত। ভয়ে এই গ্রামে আত্মীয়স্বজনরা আসতই না। এই গ্রামে বাইরের কোনও মেয়ের বিয়ে দিতে চাইত না। গত ছয় মাস ধরে এখন আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি কারণ ব্যাটারিচালিত পাওয়ার ফেন্সিং তার দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রথম হাতি সেই তারের কাছে আসত কিন্তু গ্রামে ঢুকত না। এখন তো আর গ্রামের দিকে আসেই না। এতে আমরা খুব খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বানারহাট ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রদীপ ছেত্রি বলেন, হাতির হামলা আটকাতে বনদপ্তরের উদ্যোগেই পাওয়ার ফেন্সিং তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। মোট ২ কিমি জঙ্গলের ধার ঘেঁষেই এই তার লাগানোর ফলে জঙ্গল থেকে বেরোতেই হাতির দল বাধার মুখে পড়ে, ফের জঙ্গলে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে এই তার লাগানো হয়েছে। এর ফলে শুধু এই গ্রাম নয় এর পরের গ্রাম কলাবাড়ি বস্তিতেও হাতির হামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ কলাবাড়ি বস্তি যেতে হলে এই প্রয়াগপুর গ্রামের মধ্যদিয়েই হাতিদের যেতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রয়াগপুর গ্রামে হাতি ঢুকতেই পারছে না। তাই অন্য গ্রামে ঢোকার প্রশ্নই নেই।