কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্টেট জু অথরিটির সদস্য সচিব বিনোদ যাদব বলেন, দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে এই বিচরণভূমি তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য বন দপ্তরকে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি এখনও প্রাথমিক অবস্থাতেই আছে। বন দপ্তর চাইলে তবেই এবিষয়ে আমরা এগবো। বনমন্ত্রী বলেন, স্টেট জু অথরিটির প্রস্তাবটি কলকাতায় অরণ্য ভবনে এসে থাকতে পারে। আমরা জু অথরিটির ওই প্রস্তাবকে স্বাগতই জানাচ্ছি। প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য জু কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে পর্যটনের নতুন রাস্তা খুলে যাবে।
লোকালয়ে চলে আসা চিতাবাঘদের পুনর্বাসন দিতেই ২০০৫ সালে বাম আমলে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটি গড়ে উঠে। সেখানে এনক্লোজারের ভিতরে উন্মুক্ত পরিবেশে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে লেপার্ড সাফারিও চালু করা হয়। আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন সার্কাস সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত করা ১৮টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রাখা হয় ফালাকাটা ব্লকের এই ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে। সব মিলিয়ে দেশবিদেশের পর্যটকদের প্রধান ঠিকানা হয়ে ওঠে এই ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটি।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামোগত নানান সমস্যার দরুন ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটি ধীরে ধীরে তার হৃতগৌরব হারিয়ে ফেলে। পরিকাঠামোগত সমস্যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ব্যাটারি চালিত লেপার্ড সাফারি। বিভিন্ন রোগভোগে মারা যেতে যেতে ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র একটিতে। এই ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে একমাত্র বেঁচে থাকা কুমিরে পা খুবলে খাওয়া সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল ‘রাজা’র অবস্থাও বর্তমানে ভালো নয়। বর্তমানে এখানে বিভিন্ন চা বাগানে ও লোকালয়ে ধরা পড়া শুধুমাত্র ১৫টি চিতাবাঘই আছে।
এই বেহাল অবস্থার জন্য ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে পর্যটকরা এখন যাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্টেট জু অথরিটি কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাবে আশার আলো দেখছে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সব মহল। প্রস্তাবটি কার্যকর হলে উন্মুক্ত পরিবেশে পর্যটকরা গন্ডার ও বাইসন দেখার স্বাদ পাবে।