পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামগঞ্জ এলাকার এক তৃণমূল কর্মী এদিন লক্ষ্মীপুরের একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেসময় তার সঙ্গে এক কংগ্রেস কর্মীর বচসা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজালির ধুলিগাঁও মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। সেসময় লক্ষ্মীপুরের কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর লক্ষ্মীপুরে পৌঁছতেই কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা লক্ষ্মীপুরের জেলা পরিষদ সদস্য আজিজ আহমেদের বাড়িতে নালিশ জানাতে যায়। অভিযোগ, সেসময় বাড়ির ভেতর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। গৃহবন্দি হয়ে থাকেন আজিজ। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করেও বাইরে থেকে বোমা ও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরে পুলিস গেলে বাড়ি ঘেরাও মুক্ত হয়। সেখান থেকে সরে কংগ্রেস কর্মীরা লক্ষ্মীপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীরা আজিজকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলে। পুলিস আজিজকে থানায় নিয়ে আসে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস পিকেটিং চলছে।
ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, গণ্ডগোল শুরু হতেই পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় পুলিস পিকেটিং আছে।
চোপড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অশোক রায় বলেন, এদিন সকালে লক্ষ্মীপুরের একটি ব্যাঙ্কের সামনে দুই যুবকের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বচসা হয়েছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ব্যাপার ছিল না। পরে ধুলিগাঁও এলাকায় তৃণমূল রাস্তা অবরোধ করে। তারা জেলা পরিষদের সদস্যের বাড়িতে গিয়েছিল নালিশ জানাতে। এরই মধ্যে তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। ফলে উত্তেজনা তৈরি হয়। আজিজের নামে বিভিন্ন অভিযোগ আছে। কিন্তু পুলিস তাকে কিছুই বলছে না। তাই রাস্তা অবরোধ করে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। আমাদের দলের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়। এদিকে চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের হামিদুল রহমান বলেন, লক্ষ্মীপুরে বরাবরই কংগ্রেস সন্ত্রাস করছে। এদিন আমাদের দলের জেলা পরিষদের সদস্যের বাড়িতে গুলি বোমা সহ হামলা চালিয়েছে ওরা।
আজিজ আহমেদ বলেন, কোথায় কী গণ্ডগোল হয়েছে তা আমি জানিই না। এপ্রিল মাসেও কংগ্রেস কর্মীরা আমার বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছিল। এখন সেই বাড়ি মেরামতির কাজ চলছে। এদিন দুপুরে একদল কংগ্রেস কর্মী আমার বাড়ির সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর করে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই তারা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আমি গেট বন্ধ করে ছেলে, বউকে নিয়ে দোতলার একটি ঘরে ছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
স্থানীয়রা বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই চোপড়া ব্লকের সীমান্তবর্তী কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু হয়। শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে গুলি ও বোমার লড়াই চলে। লক্ষ্মীপুরে এমন ঘটনা অনেক হয়েছে। দুই দলের এই লড়াইয়ের ফলে সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম ছুটেছে। যে কোনও সময় গন্ডগোলের আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের দাবি এলাকায় শান্তি স্থাপনের জন্য শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দল ও পুলিস প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে।