পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ২০ টি ওয়ার্ডে রাস্তা, নিকাশিনালার বেহাল অবস্থা। অধিকাংশ ওয়ার্ডের গলি, রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সেখানে জল কাদায় থিকথিক করছে। বাড়ির বাইরে স্কুল, অফিসে যেতে রীতিমতো নরকযন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বহু নালার কোথাও ভেঙে রয়েছে, কোথাও অর্ধেক নির্মাণ হওয়ার পর তা অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। পুরসভার ঠিকাদারদের একাংশ জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ করার পর সবকিছু ঠিক থাকলেও বকেয়া মেটানো হচ্ছে না। কাজ শেষ করার পর মাসের পর মাস কেটে গেলেও বকেয়া না পাওয়ায় ঠিকাদারদের অনেকেই টাকার অভাবে নতুন করে কাজ শুরু করতে পারছেন না। যেখানে একজন ঠিকাদারের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি তাঁকে প্রায় বছরখানেক পরে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা মেটানো হচ্ছে। ঠিকাদারদের পক্ষে ধরম পাশোয়ান বলেন, প্রায় ১০ কোটি টাকা মতো বকেয়া রয়েছে। পুরসভা বকেয়া না মেটানোয় ব্যাঙ্ক ঋণের বহরও বেড়ে চলেছে। ছোট মাপের ঠিকাদাররা এতে সবচাইতে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন। তাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেসের কাউন্সিলার পিনাকি সেনগুপ্ত বলেন, শাসকদল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভা কোনও নিয়মনীতি মানে না। এখানে পুরসভা নিয়মিত মাসিক মিটিং করে না। অনেক অনিয়ম বেনিয়মের কথা পুরসভায় কান পাতলেই শোনা যায়। ঠিকাদারদের বকেয়ার বিষয়টিও আমরা অন্ধকারে রয়েছি। সিপিএমের কাউন্সিলার দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার নিজের ওয়ার্ডে প্রায় বছর খানেক হল অধিকাংশ রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা হয়ে রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যানকে বারবার বলেও কোনও কাজ করাতে পারিনি। রাস্তা, নালা, কালর্ভাট কোনও কাজই পুরসভা করছে না। সবকিছু ঠিক থাকলে বছরখানেক পরেই জলপাইগুড়ি পুরসভার ভোট হবে। সাধারণত ভোটের আগে বিভিন্ন পুর এলাকায় বছরখানেক আগে শহরকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়। মূলত ক্ষমতাসীন পুরবোর্ডের জনপ্রতিনিধিদের ওই সময় নজর থাকে নাগরিকদের সরাসরি যে পরিষেবাগুলি দরকার যেমন বিদ্যুৎ, পানীয় জল, নিকাশি, রাস্তা, পার্ক, পথবাতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দ্রুত সমাধান করা। জলপাইগুড়ি পুরসভায় গত প্রায় বছরখানেক ধরে পানীয় জল প্রকল্পের জন্য পাইপ পাতা, ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ দেখা যাচ্ছে না। শহরে একটি শিশুপার্ক তৈরির কাজ পুরসভা থেকে শুরু হলেও সেই কাজ ধীরগতিতে চলছে। শহরের অধিকাংশ বাজারগুলি বেহাল অবস্থা। অধিকাংশ মাছ মাংসের বাজারে নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় রুমাল চেপেও সেখানে ঢুকতে চান না ক্রেতারা। কোথাও বাজার, বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে থাকলেও তা চালুর উদ্যোগ দেখায়নি পুরসভা। শহরের উন্নয়ন থমকে থাকার কথা স্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য উন্নয়ন থমকে রয়েছে, এরফলে বর্ষায় জলপাইগুড়িবাসীর সমস্যা কিছুটা হতে পারে।