বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দলের জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, হবিবপুরে ১৪টি অঞ্চলে একেকজন জেলা নেতাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও দু’জন করে নেতৃত্বকে রাখা হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি পর্যন্ত একটি অঞ্চলে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন। এই পরিকল্পনা আমরা আগেই তৈরি করেছিলাম। এবারে তা কার্যকর করা হল। কাউকে দেখে সাংগঠনিক কৌশল তৈরির প্রয়োজন আমাদের পড়ে না। বিজেপি চিরকালই একটি সাংগঠনিক দল। গত লোকসভাতেও আমরা এভাবেই দলের জেলা নেতাদের বিধানসভাভিত্তিক দায়িত্ব দিয়েছিলাম।
তৃণমূলের হবিবপুর বিধানসভা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল মিশ্র বলেন, বিজেপি পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে দিক আর সব নেতা মিলে হবিবপুরে বসে থাকুক, লাভ কিছুই হবে না। কারণ মানুষের সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে। এলাকার মানুষ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে চাইছেন। পর্যবেক্ষক দিয়ে যে উচ্ছ্বাস আটকানো যাবে না।
হবিবপুরের বিধানসভা উপনির্বাচন নানান রাজনৈতিক কারণেই বিজেপির কাছে এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের একটি বিশেষ নীতির প্রতিষ্ঠার জন্য আদিবাসী-রাজবংশী অধ্যুষিত হবিবপুর জিততে মরিয়া বিজেপি। আবার সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুর বিধানসভাজুড়ে স্রোতের বিরুদ্ধে হেঁটে বিজেপি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। হবিবপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি, পাঁচটি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে চারটি তারা পেয়েছে। পঞ্চায়েত দখলের ক্ষেত্রেও তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে তারাই। দলের এই সাফল্য যে কোনও অস্বভাবিক ঘটনা ছিল না সেটাও হবিবপুর উপনির্বাচনে বিজেপিকে প্রমাণ করতে হবে। ফলে ক্ষমতার বৃত্তে না থেকেও এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি চাপে আছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচনের শুরু থেকে নানারকমের কৌশল নিয়ে চলতে শুরু করে। সেই তালিকাতেই যুক্ত হয়েছে অঞ্চলভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভার ১৪টি অঞ্চলের জন্য ১৪ জন জেলানেতার সঙ্গে আরও দু’জন করে সাংগঠনিক নেতাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র নিজে বুলবুলচণ্ডী অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। সহ সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বৈদ্যপুরের, জেলা প্রবক্তা অজয়বাবু মঙ্গলপুরার দায়িত্বে রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা, বিষ্ণুপদ মণ্ডলরাও একএকটি অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। এভাবেই একজন পদাধিকারী ও দু’জন সহকারী সহ মোট ৪২ জন নেতাকে হবিবপুর নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতৃত্বও থাকছে।
মালদহে এভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে ভোট করানো শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের উপনির্বাচনেও অঞ্চলভিত্তিক দু’জন করে জেলানেতাকে দায়িত্ব দিয়ে হবিবপুরে পাঠিয়েছে তৃণমূল। তারপরেই বিজেপির এই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই তুলনা চলে আসছে। তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, দু’পক্ষের মধ্যে একটি স্পষ্ট তফাত আছে। তৃণমূল যেখানে মূলত জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে রেখেছে সেখানেই বিজেপি বহু নির্বাচনের অভিজ্ঞ পোড়খাওয়া নেতাদের পর্যবেক্ষক করেছে।