পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাজীব পতিতুণ্ড বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা তৈরি হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে আছি। কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ফেরা খুব জরুরি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং এখনও আছে। একটি অনিয়মের অভিযোগের জবাব আমরা চেয়েছি যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বপক্ষে কোনও নথি দাখিল করতে পারেনি। আমরা একটিই কথা বলেছি যে ভর্তি প্রক্রিয়া এগজিকিউটিভ কাউন্সিল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দরকার হয়েছিল, এর থেকে বড় নথি কি হতে পারে? তারও সদুত্তর বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি, কিন্তু মিথ্যা হেনস্তার অভিযোগ করা হচ্ছে। উপাচার্যের অসুস্থতা দুঃখজনক। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবিধান না হলে আন্দোলন চলবে। আমাদের আন্দোলনকারী ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ আমরা থানায় দায়ের করেছি।
বিশ্বিদ্যালয়ের মিছিলকারী অধ্যাপকদের অন্যতম অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কে দোষী কে নির্দোষ সেসব নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। আমরা প্রশাসন ও পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি শুধু এটা বলতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফেরানো হোক।
আন্দোলনে না থাকলেও গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, মাস ছ’য়েক আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই অচিন্ত্যবাবু অফিসার পদে বসতে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন। সেদিন তিনি পথে নামলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আর অধ্যাপকদের মিছিল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে হল না, এটাও দুর্ভাগ্যজনক। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ও কর্তৃপক্ষের উচিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল আড়াল করতে চেয়ে আলোচনায় বসছেন না, এই অনড় অবস্থান অনুচিত। উল্টে আন্দোলনকারীদের উপরে মিথ্যা হেনস্তার অভিযোগ করাটাও অনভিপ্রেত। উপাচার্যের সুস্থতা এবং শুভবুদ্ধির জন্য প্রার্থনা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশান বিভাগে এক শিক্ষার্থীর ভর্তিতে অবৈধতার অভিযোগ তুলে শুক্রবার থেকে আন্দোলনে নামে একাংশের শিক্ষার্থী। সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের এনিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেখানে অন্য একটি অংশের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে উপাচার্য ভর্তিতে অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করলেও কোনও নথি দেখাননি বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ। রাতে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আবার আন্দোলনকারী ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছে। এদিকে এদিনও আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের ঘরে বসে আন্দোলন চালিয়ে যান। গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচলাবস্থার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।