বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মেডিক্যাল সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা বন্ধ করতেই বহিরাগতদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রসূতি ও বাচ্চার মৃত্যুহার কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা এবং তাঁর জীবন রক্ষা আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকারের বিষয়। এছাড়া অন্য কোনও মন্তব্য করব না। আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত কোচবিহার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও এমজেএন হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী সমন্বয় কমিটির সভাপতি গগন গোস্বামী বলেন, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হাবে আয়াদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এরা ৩০-৪০ বছর ধরে এমজেএন হাসপাতালে আয়ার কাজ করছেন। আচমকা কর্মচ্যুত করলে তাদের সংসারগুলি ভেসে যাবে। মাতৃমাতে ঢুকতে না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মঙ্গলবার কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল সংলগ্ন মাতৃমা চালু হয়েছে। এমজেএন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগকে মাতৃমাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিন সেখানে প্রসবও হয়েছে। এদিকে এতদিন আয়ারা এমজেএন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কাজ করতেন। এদিন তাঁরা মাতৃমাতে কাজে যোগ দিতে গেলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপরই তাঁরা দলে দলে সুপারের চেম্বারের ভিতর ঢুকে পড়েন। চেম্বারে ঢোকার করিডরে তাঁরা বসে থাকায় চিকিৎসকদের একাংশও ঢুকতে বাধা পান। পুলিসও ঘটনাস্থলে যায়। আইএনটিটিইউসি নেতারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তাঁদের দাবি, প্রায় ১৭০জন আয়াকে ধাপে ধাপে কর্মচ্যূত করা হচ্ছে। এর জেরে এলাকার কর্মসংস্থান নিয়েও উদ্বেগ বাড়বে। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা দাবি করেন মাতৃমা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এই কেন্দ্রটি পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা হোক এটা কাম্য নয়। তাছাড়া কোচবিহারের কর্মসংস্থানের সব দায় হাসপাতাল নিতে পারবে না। বহিরাগতদের যাতায়াতের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ালে রোগীর প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে। এমনকী শিশু ও মায়েদের মৃত্যু হলে স্বাস্থ্যভবনে কৈফিয়ৎ দিতে হয়। গাফিলতি থাকলে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত বাতিল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আয়াদের সেখানে কাজে রেখে কোনওভাবেই ঝুঁকি নেওয়া হবে না। তাছাড়া মাতৃমাতে প্রচুর নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরাই যাবতীয় কাজ করবেন। আলাদা করে আয়াদের কোনও প্রয়োজন নেই। ওখানে রোগীর পরিজনদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আয়ারা পালটা দাবি করেন, রোগীদের সেবা করার কাজ তাঁরা করেন। গোটা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। অন্যদিকে রোগীর পরিজনদের দাবি, আয়রা রোগীর মাথাপিছু ৩০০ টাকা করে নেয়। বাড়তি নানা দাবিও তাঁদের পূরণ করতে হয়। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও আগে রাশ টানা দরকার ছিল।