পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সাম্প্রতিক অতীতে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পুরসভার মাধ্যমে অস্থায়ী অর্থাৎ টিন নম্বর দেওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর পাশাপাশি শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রশাসনের তরফে বোর্ড টঙানো হয়েছিল। যা এখনও রয়েছে। সরকারি স্বীকৃত কোম্পানির বাইরে অন্য কোম্পানির টোটোকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এদের টির নাম্বার দেওয়া হবে না। অবৈধ টোটো বন্ধ করেও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। অভিযোগ, এই ঘোষণার পরও শহরে টোটোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। প্রশাসনের এই মনোভাবের সুযোগ নিয়ে শহরে নতুন টোটোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে শহরের রাস্তা দিয়ে চলাটাই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে নাগরিকদের অভিযোগ।
আইনি জটিলতার কারণে সেভাবে টোটোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে পারেনি প্রশাসন। কেননা মহকুমা শাসক জানিয়েছেন রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এদের বিরুদ্ধে চালান কেটে আর্থিক জরিমানা করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। এছাড়া এতো টোটোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে গেলে অর্থাৎ অবৈধ টোটো চলাচল বন্ধ করতে গেলে বিশাল পুলিস ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে। ভোটের ব্যস্ততার জন্য এ কাজ করা যায়নি। তবে ভোটপর্ব মিটলে প্রয়োজনীয় পুলিস নিয়ে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে।
শহর জুড়ে অবৈধ টোটোর দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নাগরিকরা শুধু প্রশাসনের ঢিলেঢালাভাবকেই দায়ী করছেন না। তাঁদের অভিযোগ, পাড়ায় পাড়ায় শাসক দলের কিছু নেতার মদতে শহরে টোটোর এই দাপাদাপি লাগামছাড়া হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সেই মদতে শহরের এবং বাইরে থেকে আসা বহু মানুষ শিলিগুড়িতে টোটো নিয়ে নেমে পড়েছেন। নাগরিকদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি'র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপ রতন ঘোষ। তিনি বলেন, আমরাও প্রধান প্রধান রাস্তায় টোটো বন্ধ করার জন্য একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। ভোটের পর আমরাও অবৈধ টোটো চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসনকে সব রকম সহযোগিতা করব। কেননা শহর মন্থর হয়ে পড়ার পাশাপাশি নাগরিকদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।