রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডেপুটি পুলিস কমিশনার ( ট্রাফিক) তরুণ হালদার বলেন, যানজট সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বক্ষণ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পথে গড়ে তোলা হয়েছিল গ্রিন জোন। তবে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কাজও শুরু হয়েছে। তবে শহরের সংকীর্ণ রাজপথে সেই অত্যাধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব না হলে ফের একবার গ্রিন জোন তৈরি করা হবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলিতে।
নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ট্রাফিকের ডিসিপি থাকার সময়কালে যানজট সমস্যা সমাধানে ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে ভেনাস মোড় থেকে শুরু করে মহকুমা শাসকের দপ্তর পর্যন্ত হিলকার্ট রোডে কয়েক ভাগে গ্রিন জোন গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও শুরু থেকেই শহরবাসী গ্রিন জোনের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবে ট্রাফিক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, গ্রিন জোন থাকলে শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। যদিও মাসকয় বাদেই তা ভুল প্রমাণিত হয়। মূলত ট্রাফিক বিভাগের পুলিস কর্মীদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যই সমস্যা উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। এরপরেই শহরের রাজপথ থেকে তুলে দেওয়া হয় গ্রিন জোন । শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো বলেন, সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে ওই গ্রিন জোন গড়ে তোলা হয়েছিল। যার দরুণ সমস্যা আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। কারণ যে লক্ষ্যে গ্রিন জোন গড়ে তোলা হয়েছিল তা সফল হয়নি। তা মূলত ট্রাফিক বিভাগের পুলিস কর্মীদের উদাসীনতার জেরেই হয়েছে। তাই আমরা চাই ওই গ্রিন জোন যেন দ্বিতীয়বার শহরের রাস্তায় না বসে। তাতে সমস্যা বাড়বে ছাড়া কমবে না। তবে ট্রাফিক বিভাগ যদি যানজট সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় তবে আমাদের কাছে পরামর্শ চাইলে দিতে পারি।
বর্তমান সময়ে যানজট সমস্যা এতটাই উর্ধ্বমুখী যে শহরের গতি একপ্রকার থমকে গিয়েছে। যেখানে ভেনাস মোড় থেকে দার্জিলিং মোড় পৌঁছাতে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে যানজটের জেরে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট লেগে যাচ্ছে। কখনও কখনও আবার তা পৌনে এক ঘন্টাও হয়ে যায়। এবিষয়ে এক গাড়ি চালক মিল্টন ভৌমিক বলেন, গ্রিন জোনের ফলে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল আমাদের। গ্রিন জোনে বাস, সিটি অটোর জন্য পৃথক রুট করা থাকলেও চালকেরা তা কখনই মানতেন না। এমনকি কর্তব্যত ট্রাফিক পুলিসকর্মীরাও সেবিষয়ে কোন নজর দিতেন না। শহরের এক বাসিন্দা বাসিন্দা সোনু সুত্রধর বলেন, গ্রিন জোন করে যানজট সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে সত্যিই যদি যানজট সমস্যার সমাধান করতে হয় সেক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিস কর্মীদের আরও কর্মোদ্যোগী হতে হবে। কারণ যানজট সমস্যার মূলে সিটি অটো ও বাস। মাঝপথে আচমকা দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা ও নামানোর কাজ করেন চালকেরা। সর্বোপরি প্রধান রাস্তায় টোটো চলাচল বন্ধ করতে হবে।