বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করিম সাহেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে প্রার্থী করে যে সম্মান দিয়েছেন তার জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দু অধিকারী ফোন করে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। আজকে আমি টিভি দেখে জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমি খুব খুশি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করব। এদিকে দলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, করিম সাহেব প্রার্থী হয়েছেন বলে দল থেকে আমার কাছে কোনও বার্তা আসেনি। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনও বলেন, এবিষয়ে দল এখনও আমাদের কিছু জানায়নি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেব।
এদিনই প্রদেশ কংগ্রেস থেকে ইসলামপুর আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে দলের ব্লক সভাপতি মুজাফ্ফর হোসেনের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। এখবরে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। দলের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, মুজাফ্ফর আমাদের দুর্দিনের সাথী। তাই আমরা তাঁর নামই প্রদেশে পাঠিয়েছিলাম। এআইসিসির অনুমোদনের পরে প্রদেশ কংগ্রেস উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে। মুজাফ্ফর হোসেন বলেন, দল আমকে প্রার্থী করেছে তার জন্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ। নির্বাচনের ময়দানে অনেকেই প্রার্থী হবে। হারজিত এখনই বলা সম্ভব নয়। বাড়ি বাড়ি যাব, মানুষের কাছে যাব। অন্য দলকে ভোট না দিয়ে কংগ্রেসকে কেন ভোট দেবে তা মানুষকে বোঝাব। জিতব বলেই আশা করছি।
এদিকে এদিন সিপিএমের ইসলামপুর-১ ও ২ নম্বর এরিয়া কমিটির বৈঠক হয় ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরি হলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। কিন্তু সেখানে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। বিজেপিও জানিয়েছে, এখনও তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, করিম সাহেব ইসলামপুর কেন্দ্র থেকে নয় বার বিধায়ক হয়েছেন। ২০১১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি তৃণমূল সরকারের গ্রন্থগারমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে ৭৭৩৯ ভোটে তিনি পরাজিত হন। পরে কানাইয়ালাল তৃণমূলে যোগদান করেন। কানাইয়াকে দলে নেওয়ার বিরোধিতা করেন করিম। কিন্তু নেতৃত্ব তাতে গুরুত্ব দেয়নি। করিম দল ছেড়ে বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস দল তৈরি করেন। এবার আবার তৃণমূলের প্রার্থী হলেন।
রাজনৈতিক মহলের খবর, করিম সাহেব এতদিন দলে ছিলেন না। তাই দল তাঁকে প্রার্থী করায় তৃণমূলের একাংশে চাপা ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। এব্যাপারে করিম সাহেব বলেন, কারা কী করবে তা বলতে পারব না। সেটা ওদের ব্যাপার। আমি নিজের কাজ করে যাব। বড় সম্মেলন কিছু করব না। হাতে সময় কম। বাড়ি বাড়ি, পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে যাব।