গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পড়ুয়ারা বলে, স্কুলে প্রতিদিন মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়। কিন্তু কোনও ডাইনিং শেড নেই। ক্লাসে বসেও সকলের খাওয়া জায়গা হয় না। তাই মাঠে বসেই খেতে হয়। যেদিন ডিম বা মাংস খাওয়ানো হয় সেদিন আমরা আতঙ্কে থাকি। অনেক সময়ে পথকুকুর প্লেটের খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
কচড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মন্টুরাম সরকার বলেন, আমাদের স্কুল ক্যাম্পাসে মিড ডে মিল রান্নার জায়গা নেই। রাস্তার উল্টোদিকের একটি জায়গায় রান্না করা হয়। ডাইনিং শেড নেই। তবে আমরা দু’টো ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। সেখানে জায়গা কম হওয়ায় অনেকেই মাঠে বসে খায়। আমাদের স্কুলের ছ’জন শিক্ষক মিড ডে মিলের বিষয়টি দেখেন। তাঁরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি ব্লক প্রশাসনকে সমস্যাটি জানিয়েছি। আশা করি, ডাইনিং শেড করে দেওয়া হবে।
কুশমণ্ডির বিডিও মহম্মদ জাকারিয়া বলেন, মিড ডে মিল রান্না থেকে পরিবেশন কিংবা খাওয়া সবটাই হাইজেনিক হওয়া দরকার। কিন্তু খোলা আকাশের নীচে গবাদি পশুর সমানে বসেই পড়ুয়ারা মিড ডে মিল খাবে এটা হতে পারে না। আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলব।
কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমিত দাস বলেন, খোলা আকাশের নিচে এভাবে খাওয়া ঠিক নয়। ধুলোবালি পড়ে পেটের রোগ হতে পারে। এব্যাপার স্কুল কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ করা দরকার।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের কচড়া হাইস্কুলটি দেহবন্ধ-ফতেপুর রাজ্য সড়কের কচরা মোড়ে রয়েছে। স্কুলে প্রতিদিনই মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়। দু’টি ক্লাসরুমে স্কুল কর্তৃপক্ষ খাওয়ার ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বাধ্য হয়ে স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরের মাঠে বসে তাদের খেতে হয়। ওই মাঠেই দিনভর গোরু, ছাগল চড়ে বেড়ায়, পথকুকুরও থাকে। যেদিন ডিম কিংবা মাংস খাওয়ানো হয় সেদিন এলাকার পথকুকুর ছেলেমেয়েদের খাবার প্লেটের পাশে ঘুরে বেড়ায়। যেকোনও সময়ে ওসব সারমেয় তাদের ওপর হামলে পড়ার আতঙ্কে থাকে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের দাবি, অতীতে বেশ কয়েকবার এমনও হয়েছিল।