পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবাশিস নন্দী বলেন, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম বালুরঘাট কলেজে করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সেখানে রাখা হয়েছে। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার জন্য এক কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিসও কলেজ ক্যাম্পাসে আছে। আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছি। কমিশনের নির্দেশ মতো নিরাপত্তা বলয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের পর বালুরঘাট কলেজ, বুনিয়াদপুর মহকুমা শাসকের দপ্তর এবং বুনিয়াদপুর কলেজে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট ভোটকর্মীরা জমা করেন। সেখান থেকে রাতেই সমস্ত ইভিএম ও ভিভিপ্যাট বালুরঘাট কলেজে নিয়ে আসা হয়। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টদের উপস্থিতিতে সেসব স্ট্রংরুমে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত স্ট্রংরুমে ওসব রাখার কাজ চলে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্ট্রংরুম সিল করে দেওয়া হয়। জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কলেজের স্ট্রংরুমের পাহারায় এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি পুলিস ও সিসিটিভির মাধ্যমেও সেখানে নজরদারি চলছে। এদিকে এদিনই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে স্ক্রুটিনি করা হয়। নির্বাচনের দিন দপ্তরে যেসমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে সেসব বিষয় থেকে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বাকি ভোটকর্মীরা নিরাপদেই নির্দিষ্ট ডিসিআরসি’তে ইভিএম জমা দিয়ে ফেরেন। মঙ্গলবার ভোট শেষ করে সন্ধ্যায় ডিসিআরসি’তে ফেরার পথে বংশীহারি ব্লকের পাঠানপাড়ায় ভোটকর্মীদের একটি গাড়ি উল্টে যায়। সেখানে ভোটকর্মী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছিলেন। গাড়িতে থাকা ১২জন আঘাত পান। তবে ইভিএম কিংবা ভিভিপ্যাটের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মোট ১৫৩০টি বুথ ছিল। এজন্য প্রায় ছ’হাজার ভোটকর্মীরাকে কাজে লাগানো হয়েছিল। তাঁরা মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তাঁরা ডিসিআরসিতে আসতে থাকেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টার পর কোনও জায়গাতেই ভোট হয়নি। বালুরঘাট লোকসভা আসনে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ১৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৬৭ ভোটার ছিলেন। ভোট পড়েছে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৮১টি। মোট ৮৪.৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার কিছু বেশি ভোট পড়েছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জেলা প্রশাসন নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ নেওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতি চালু করেছিল। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু অভিযোগ কমিশনে জানিয়েছে। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের হাত দিয়েও কিছু অভিযোগ দপ্তরে এসেছিল। সেসমস্ত অভিযোগই এদিন স্ক্রুটিনির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা শুরু হয়।