গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নকশালবাড়ির স্টেশন মাস্টার ধীরেন্দ্র কর্মকার বলেন, ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এদিন সকাল ৯টার দিকে নকশালবাড়িতে এসে দার্জিলিং মেলটি আটকে পড়ে। লোকো পাইলটরা ইঞ্জিনটি সারানোর সব রকম চেষ্টা করেও সফল হননি। ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চালক রেল কর্তৃপক্ষকে সব কিছু জানিয়ে দেন। কিন্তু সেই খবর পাওয়ার পর রিলিফ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসতে চার ঘন্টা সময় লাগে। দুপুর ১টা নাগাদ রিলিফ ইঞ্জিনটি দার্জিলিং মেলকে নকশালবাড়ি থেকে নিয়ে এনজেপির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।
এনজেপি বা শিলিগুড়ি জংশন থেকে রিলিফ ইঞ্জিন আসতে এতো সময় লাগায় যাত্রী নিরাপত্তায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে আসা কয়েকশো যাত্রীকে। ট্রেন যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় দার্জিলিং মেলের অনেক যাত্রী দ্রুত শিলিগুড়ি পৌঁছতে বাড়তি টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে সড়ক পথে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে নকশালবাড়ির মূল রাস্তার লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় স্থানীয়দের রাস্তা পারাপারে নাজেহাল হতে হয়। স্কুল পড়ুয়াদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। পড়ুয়ারা অনেকে ঝুঁকির মধ্যে ট্রেনের তলা দিয়ে সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হয়েছে।
এভাবে ইঞ্জিন বিভ্রাটে দার্জিলিং মেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আটকে পড়ার ঘটনা ট্রেনযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। সকলেরই অভিযোগ, দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিনের যে ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ দরকার তা করা হয় না বলেই এরকম ঘটনা ঘটছে। উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।