গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ক্রেতারা বলেন, কিছুদিন আগে আলু কেজিপ্রতি আটটাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে ১০-১২ টাকা হয়েছে। একইভাবে অন্য সব্জির দামও বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে গিয়ে সংযতভাবে কাঁচা সব্জি কিনতে হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই দামের তারতম্য হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবার লোকসভা ভোটের সময়ে এমনটা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনাজপাতি, ফলমূল আসে। ভোটের কারণে পণ্যবাহী গাড়ি কম চলায় কাঁচাপণ্যের জোগান কমে যায়। তাছাড়া এসময়ে বাজারহাটে লোকজন কম আসে। সেজন্য বিক্রেতারা বেশি পরিমাণে আনাপাতি মজুত করেন না। এসবই দামের পার্থক্যের একটা কারণ বলা যায়।
রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজারের খুচরো সব্জি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ সরকার, মুন্না রায়, বিমল দাস বলেন, আলুর ফলন এবার খুব বেশি হয়েছে। ভোটের আগে আমরা আলু আটটাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু ক’দিন ধরে চাহিদামতো আলুর বস্তা আসছে না। তাই ওই আলু ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, চলতি সপ্তাহেই আলুর জোগান স্বাভাবিক হবে। একইভাবে অন্যান্য আনাজপাতির জোগানও কম রয়েছে।
মোহনবাটি বাজারের পাইকারি সব্জি বিক্রেতা রাজু সোম বলেন, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, হলদিবাড়ি থেকে কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো, কাঁঠাল আসে। অন্যদিকে নদীয়া জেলার পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি আমাদের এখানকার বাজারগুলিতে নিয়ে আসা হয়। ক’দিন আগে কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভোট ছিল। আবার আগামী সপ্তাহে নদীয়ায় ভোট আছে। সেকারণে ওসব কাঁচাপণ্য কম আসছে। পাইকারি বাজারে তাই দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আশা করছি, শীঘ্রই দাম কমবে।
রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজার কমিটির সভাপতি জয়ন্ত সোম বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রতিবারই কাঁচাপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। দেশজুড়ে ভোটের জন্য গাড়ি কম চলায় আমদানি-রপ্তানি কমে যায়।
রায়গঞ্জ শহরের সব চেয়ে বড় বাজারটি মোহনবাটিতে বসে। এছাড়াও দেবীনগর বাজার, কলেজপাড়া বাজার, বন্দর বাজার, গোশালা বাজার, রেল বাজারে প্রতিদিন আনাজপাতি নিয়ে ব্যবসায়ীর দোকান করেন। ওসব বাজারে প্রতিটি কাঁচা সব্জির দাম কেজিপ্রতি একটাকা থেকে দু’টাকার হেরফের রয়েছে। তবে এক সপ্তাহ আগে প্রতিটি জিনিসের দাম গড়ে পাঁচ-সাত টাকা কম ছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে শহরের বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, মুলো ৩০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টম্যাটো ২৫ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, সজনে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ঝিঙে ৩০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১৫ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সাইজ অনুযায়ী প্রতি পিস চাল কুমড়ো ও লাউ ২০-২৫ টাকা করে জেলার বিভিন্ন বাজারে মিলছে।