কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উত্তর মালদহের হবিবপুরের একটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নিযুক্ত এক পোলিং অফিসার বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি মালদহ কলেজে। অথচ আমাদের উপস্থিতি রেকর্ড করার মতো কেউ ছিল না। ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ করে উপস্থিতি রেকর্ড করতে বলা হয়। আমরা পড়িমরি করে ছুটে যাই। একে প্রচণ্ড গরম। তার উপর লম্বা লাইন। কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিৎ আমরাও মানুষ। এই গরমে এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আরেক পোলিং অফিসার বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পরে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পেয়েছি। এরকম অব্যবস্থা বাঞ্ছনীয় নয়। মালদহ পলিটেকনিকে ভোটের সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে আসা এক প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, পানীয় জলের জন্য এদিক ওদিক ছুটছি। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়াই দায়। কোনও পথ নির্দেশিকা কোথাও নেই। আর এক পোলিং অফিসার বলেন, আমাদের ভোটার অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের দলের এক সদস্য দুশ্চিন্তায় প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা আরেকজন অতিরিক্ত সদস্য চাইছি। কিন্তু তা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।
সব চেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওল্ড মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভোট নিতে যাওয়া ভোটকর্মীরা। ওই বুথে ১৪১৪ জন ভোটার রয়েছে। কিন্তু ওই দলের এক ভোটকর্মী বলেন, এখানে যে ঘরে ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে তা রীতিমতো অপরিসর। মাত্র একটি দরজা। ভোটাররা ঢুকবে কোন দিক দিয়ে আর কোন দিক দিয়ে বেরবে তাই বোঝা যাচ্ছে না। এলাকায় এসে দেখছি কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। আমরা হতাশ।
তবে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য,ভোটকর্মীদের পরিষেবার জন্য প্রায় সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। আখতারুল হক নামে সেক্টর অফিসের এক কর্মী বলেন, কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারপরে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, একটি পোলিং টিমের অন্তত তিনজন সদস্য এক জায়গাতে জড়ো হলেই তাঁদের হাতে ভোটের সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। মালদহ পলিটেকনিকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একজন আধিকারিক বলেন, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটু দেখলেই সেসব চোখে পড়ার কথা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর মালদহে ভোটকর্মী রয়েছেন ৬৮৫২ জন। অতিরিক্ত হিসাবে রয়েছেন ১৩৭০ জন। দক্ষিণ মালদহে ভোটকর্মীর সংখ্যা ৪৬৪৮ জন। অতিরিক্ত হিসাবে রয়েছেন ৯৩০ জন। সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা অতিরিক্ত মিলিয়ে মোট ভোটকর্মীর সংখ্যা ১৮১৬জন।