কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন রুটে বাসের দেখা মেলেনি। ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে যাত্রীদের নাজেহাল হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট কর্মীদের বুথে বুথে পৌঁছে দিতে একের পর এক বাস মালদহের ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরের মধ্যে দিয়ে চলাচল করায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। তাতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। অনেকেই বাস না পেয়ে টোটো ভাড়া করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার মালদহ ডিপো ইনচার্জ উত্তম মজুমদার বলেন, স্বাভাবিক রুটে যেভাবে আমদের বাস চলাচল করে সেভাবেই চলবে। বাড়তি কোনও বাস জেলায় দেওয়া হয়নি। যে বাস ছিল তার মধ্যে বেশিরভাগই ভোট কর্মী এবং ফোর্সদের বুথে নিয়ে যেতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যাতে মানুষ সরকারি বাস পরিষেবা পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ট্রাফিক পুলিসের এক কর্তা বলেন, জেলা শহরে কোনও যানজট হয়নি। ভোট কর্মীদের বুথে পৌঁছে দিতে শহরের মধ্য দিয়ে যেতে যে সময় লেগেছিল তাতে সাময়িকভাবে একটু সমস্যা হয়েছিল। তাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হয়নি। মালদহের গাজোলের আলমপুরের বাসিন্দা অনুপ মণ্ডল বলেন, রথবাড়িতে দু’ঘণ্টা ধরে রোদে দাঁড়িয়ে আছি, কোনও বাস পাইনি। ভোটের কাজে বেশিরভাগ বাস চলে যাবে তা জানতাম না। চাঁচলের বাসিন্দা রব্বুল হোসেন বলেন,শ্বশুর,শাশুড়িকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। তঁদের নিয়ে এসে বিপাকে পড়ে গিয়েছি। কীভাবে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছি না। তিনঘণ্টা অপেক্ষা করেও ধরে বাস পারিনি।
জেলার বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নিমাই বিশ্বাস বলেন, ভোটের কাজে ৩০০-রও বেশি বাস নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এদিন যাত্রীদের জন্য বাস কার্যত ছিলই না। ভোট পর্যন্ত বাস পরিষেবা ভালোভাবে মিলবে না। বুধবার বেসরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিন সকাল থেকেই মালদহের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করেনি। সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস ছোট গাড়ি না মেলায় জেলার বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েন। শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে সরকারি বাস চলাচল করলেও তাতে ভিড়ে গাদাগাদি করে যেতে হয়েছে যাত্রীদের। অনেকে শহর থেকে বাড়ি ফিরতে টোটো ভাড়া করেন। দূরপাল্লার যাত্রীরা পণ্যবাহী গাড়ি ও লরিতে চেপে গন্তব্যে পৌঁছন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা এবং বেসরকারি বাস সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের গোটা দিন মালদহ বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি বেসরকারি বাস চলাচল খুব কম করবে। ফলে মঙ্গলবারও জেলাজুড়ে দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে।