গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকে জেলার বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা গিয়েছে নিত্য যাত্রীদের। বালুরঘাট-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট-মালদহ রুটে পাবলিক বাসের দেখা মেলেনি। সরকারি বাস চললেও তা সংখ্যায় খুবই কম ছিল। সরকারি বাস কম চলায় এদিন নাকাল হয়েছেন নিত্য বাসযাত্রীরা। জেলায় পর্যাপ্ত সরকারি বাসের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্য বাসযাত্রীরা।
বাসযাত্রী অশোক সরকার বলেন, আমি বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডে সকালে নাইট সার্ভিস বাস ধরে এসেছি। প্রতিদিন মালদহ থেকে বিস্কুট নিয়ে এই জেলায় আসি দুপুরের মধ্যে তা বিক্রি করে আবার দুপুরে মালদহে ফিরে যাই। তবে আমি ১২টা থেকে বসে রয়েছি মালদহ যাব বলে। কিন্তু ৩০ মিনিট অন্তর একটি করে সরকারি বাস আসছে বাদুড় ঝোলা অবস্থা। একঘণ্টাতেও গাড়িতে উঠতে পারিনি। অনেক মহিলাযাত্রী যেতে পারছেন না। বাসের জন্য তাঁরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রয়েছেন। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রাস্তায় বেশি করে সরকারি বাস নামানো দরকার ছিল।
উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার বালুরঘাট ডিপো ইনচার্জ গৌতম ধর বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে দেখেও আমাদের করার কিছু নেই। শুধু বেসরকারি বাস নয় আমাদেরও ১২ টি বাস নিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বালুরঘাট-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট-মালদহ, বালুরঘাট-কালিয়াগঞ্জ রুটে আমরা ২৫ টি বাস চালাচ্ছি আমাদের নির্ধারিত সময়সূচি মতো। বাড়তি কোনও বাস আমরা ভোটের কারণে নামাতে পারিনি। সোমবার বালুরঘাট-শিলিগুড়ি, বালুরঘাট-কলকাতা রুটে বাস চালানো যায়নি। কারণ আমাদের কর্মীরাও ভোট দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার ছুটি নেবেন। এতে মঙ্গলবার যাত্রীদের আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হবে। আমাদের মালদহ ও রায়গঞ্জ ডিপোরও একই অবস্থা। যাত্রীরা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন তারজন্য আমাদের সাধ্যমতো বাস চালাচ্ছি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট-কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট-হরিরামপুর ও বালুরঘাট-তপন শর্ট রুটেও সরকারি বাস না চলায় চরম দুর্ভোগ হয়েছে নিত্য যাত্রীদের।