বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বলেন, আমার মামা বরকত সাহেব, মা রুবি নূর অনেক চেষ্টায় মালদহে একটি সংহতির পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। বিজেপি’র বিভাজনের রাজনীতি সেই সংহতিকে নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রতিরোধের বদলে পেছনের দরজা দিয়ে বিজেপিকে জেলাতে ঢুকতে সাহায্য করছিল। তাই জয় পরাজয়ের কথা না ভেবে বিজেপি’কে রুখতে জেলার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। উত্তর মালদহের মানুষের কাছে আমি ঋণী যে, তাঁরা আমার কথা বুঝেছেন। তাঁরাই আমাকে জয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থী তথা মৌসমের দাদা ঈশা খান চৌধুরী বলেন, এজেলার মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। গোটা উত্তর মালদহ জুড়ে মানুষের কাছে আমি গিয়েছি। এলাকায় কোনও কাজ হয়নি, মানুষ আমাকে অভিযোগ করেছেন। অনুন্নয়ন ও দল বদলের সাজা তৃণমূল প্রার্থী পাবেন। বরাবরের মতো এবারও কংগ্রেসই এই কেন্দ্রে জিতবে। সদ্য সিপিএম ছেড়ে আসা বিজেপি’র প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, তৃণমূল ও কংগ্রেসের নিষ্ক্রিতার রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার মানুষ ভোট দেবেন। গোটা উত্তর মালদহ জুড়ে গেরুয়া ঝড় বইছে। বিজেপি সরকার ফের কেন্দ্রে আসছে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ফলে মানুষ আমার সঙ্গেই থাকবেন। তিনশক্তির লড়াইতে সঙ্গোপনে রয়েছে সিপিএম। দলের প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, কেউ বিভাজনের কথা বলছেন কেউ মেকি উন্নয়নের কথা। মানুষের কথা কেউ বলছেন না। উত্তরের মানুষ তাই তাঁদের কথা বলার জন্যে লাল পতাকার কাছে আসছেন। রায় এবার আমাদের পক্ষেই যাবে।
মালদহ কংগ্রেসের চিরপরিচিত জমিদারি কায়দার রাজনীতির উলটো পথে হেঁটে দ্বিতীয়বারের লোকসভা নির্বাচনেই কোতোয়ালির নবীন মুখ মৌসম জনতার মাঝে নেমে এসেছিলেন। উত্তর মালদহের এমন অনেক বিধানসভা এলাকা আছে যেখানে মৌসম বেনজির নুরের পরিচয় শুধুই ‘মৌসুমী’। ফলত এখানে বিরোধীদের লড়াই শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের সঙ্গেই নয়, মৌসম নুরের ভাবমূর্তির সঙ্গেও। উত্তর মালদহে কংগ্রেসের কায়েমি ভোটব্যাঙ্ক থাকলেও তা দক্ষিণ মালদহের মতো জমাট নয়। আবার দীর্ঘদিন কোতোয়ালি বাড়ির নিয়ন্ত্রণে থাকা জেলা কংগ্রেসের ঘরানায় এবার বদল এসেছে। যা কংগ্রেস প্রার্থী তথা মৌসমের দাদা ঈশা খান চৌধুরীর পক্ষে কতটা স্বস্তিদায়ক সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের চর্চায় আছে। জনবিন্যাসের বিভাজনের হিসাব কষে অনেক আগে থেকেই উত্তর মালদহ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী অন্যদল থেকে আসায় চাপা ক্ষোভ বিজেপি শিবিরে নিঃশব্দে ঘুরছে। ভোট ময়দানে আছে বামেরাও। সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে, লাল শিবিরের ভোট বাড়া কমার উপরে গেরুয়া শিবিরের ভোটের অঙ্ক বদলায়। এবার কী হবে তা সময় বলবে। তবে প্রত্যেক দলের নিজস্ব কৌশল পালটা কৌশলের মধ্যে এখানে আপাতত বেনজির শুধু মৌসম।