রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দিল্লি থেকে এসে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ত। তাঁকে স্বাগত জানাতে পাহাড় থেকে অনেক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন জিএনএলএফের কর্মী-সমর্থক ও বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার সমর্থক। তাঁকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়ে মূলত এই পাহাড়ের মানুষ এক চরম বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করেন। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তিনি যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ গত নির্বাচনে অবিভক্ত মোর্চার সমর্থনে পাহাড় থেকে বিপুল ভোটে জিতে ছিলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। সেই সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার একটিও পূরণ করতে পারেননি বলে পাহাড়ের আমজনতার অভিযোগ। তার থেকেও বড় অভিযোগ ২০১৭ সাল থেকে পাহাড়ে শুরু হওয়া আন্দোলনের যে চরম অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং পাহাড়ের মানুষ টানা বন্ধের জেরে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন সেই দুর্দিনে একটি বারের জন্যও পাহাড়ের মানুষ তাদের সংসদ সদস্যকে পাশে পাননি। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পরেও দার্জিলিং যাননি বিদায়ী সংসদ সদস্য। অথচ এরমধ্যে একাধিকবার শিলিগুড়িতে এসেছেন। আর তা থেকেই পাহাড়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে আলুওয়ালিয়াকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাহাড়ের মানুষের এই মনের কথা বুঝতে পেরেই এবার সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাননি। আর তাঁর বিকল্প খোঁজার জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হিমশিম খেতে হয়েছে। পাহাড় ও পাহাড়ে মানুষের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার গত পাঁচ বছরে কী করেছে এদিন এধরনের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি এবারের বিজেপি প্রার্থী। তিনি উল্টে দাবি করেছেন, মোদির মুখেই বিজেপি দেশজুড়ে সাফল্য পাবে।