গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, নিহত দুই ছাত্রের পরিবার ন্যায্য বিচার চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছে। তাঁদের মা’রা কেঁদে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। রাজ্য সরকার ওদের বিচার দিতে পারছে না। আমরা বিচার চাই, এটাই আমাদের মূল ইস্যু হচ্ছে। নিহত ছাত্র তাপস ও রাজেশের পরিবার যতক্ষণ ন্যায্য বিচার না পাচ্ছে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা ওই দুই ছাত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সবকিছু করেছি। রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ অসহযোগিতার কারণে আমরা কোনও কাজ করতে পারছি না। ওরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে শিক্ষক চাইতে গিয়েছিল। তার বিনিময়ে মিলেছে গুলি। আমি ওদের সমাধিস্থলে কাছে শপথ করতে এসেছি। ওদের পরিবারকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেব। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তৃণমূলনেত্রীর ইগোর কারণেই জেলায় এইমস হল না। অমি উত্তরবঙ্গের মেয়ে, উত্তরবঙ্গের আমূল উন্নয়ন করতে চাই। কেন্দ্রে মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়া হবে। এখান থেকে আমাদের এমপি সংসদ ভবনে না পাঠালে উন্নয়ন নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আয়ূষমান যোজনা প্রকল্পকে আমরা সর্বত্র পৌঁছে দিতে পারছি না। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হচ্ছে না। সিন্ডিকেট রাজ কায়েম হয়ে আছে। তারাই সব কাজ আটকে দিচ্ছে।
বিজেপি এদিন সকালে রায়গঞ্জের রাবোদুয়ারি মোড় থেকে প্রচার শুরু করে। বোতলবাড়ি মোড় হয়ে করণদিঘি হয়ে ডালখোলা পার্টি অফিসে প্রার্থী আসেন। সূর্যাপুর টোল গেটে দলীয় কর্মীরা প্রার্থীকে স্বাগত জানায়। কানকিতে একটি মন্দিরে তিনি পুজা দেন। কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গেও সেখানে তিনি কথা বলেন। পাঞ্জিপাড়াতে দলীয় কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। এরপরে ইসলামপুরের পাওয়ার হাউস পাড়ায় বিজেপি’র পাটির অফিসে যান। সেখানে কর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। ইসলামপুরের তিনটি মন্দিরেও এদিন প্রার্থী পুজা দেন। পরে সেখান থেকে তিনি দাড়িভিটে পৌঁছন। সেখানে নিহত তাপসের বাড়ি লাগোয়া একটি নির্বাচনী অফিসের উদ্বোধন করেন। নিহতদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দলঞ্চা নদীর পাড়ে তাপস ও রাজেশের সমাধিতে স্থলে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে দাড়িভিট বাজারে তিনি প্রচার সারেন। প্রচার শেষে নিহত তাপসের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করেন।
প্রার্থীকে পেয়ে নিহত তাপসের মা মঞ্জু বর্মন এবং রাজেশের ঝর্ণা সরকার কান্নয় ভেঙে পড়েন। রাজেশের বাবা নিলকমল সরকার বলেন, আমরা এখনও বিচার পাইনি। আমাদের আশা বিজেপি জয়ী হলে আমরা সুবিচার পাব। তাই আমরা বিজেপি’র পক্ষেই আছি।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানেই গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে নিতহদের পরিবার বিজেপি’র হাত ধরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছে।