বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, সাংগঠনিক স্তরে কোনও রদবদল হয়নি। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের তাঁদের এলাকায় জেতানোর জন্য দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। সিতাইয়ের দলীয় বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, দলের সকলের মান অভিমান ভুলিয়ে একসঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামানো হয়েছে। নির্দলদের ফিরিয়ে একসঙ্গে ভোট প্রচার চালানো হচ্ছে। আবুয়াল আজাদ বলেন, ২১ মার্চ দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করি। তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে কাজ করছি। দলে কোনও বিভাজন নেই।
পঞ্চায়েত ভোটে যুব এবং মাদারের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে হয়ে উঠেছিল দিনহাটা। নিশীথবাবুর ছত্রছায়ায় আবুয়ালের নেতৃত্বে মাদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত লড়াইয়ে নামে যুব তৃণমূল। এলাকার যুবদের নিয়ে তৈরি আজাদ বাহিনীর হাতে গীতালদহ সহ বিভিন্ন জায়গায় পরাস্ত হতে থাকে মাদার। আজাদের খোঁজে গেলে পুলিসের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই হয়। কার্যত পুলিসকে পিছু হটিয়ে আত্মগোপন করেন আজাদ। পঞ্চায়েত ভোটে গীতালদহের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে তাঁর নেতৃত্বে নির্দল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে এলেও মাদার নেতাদের বিরোধিতায় তাঁর মূল স্রোতে ফেরা হচ্ছিল না। নিশীথবাবুকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের পরে কার্যত অথৈ জলে পড়েন আজাদরা। নিশীথবাবু বিজেপিতে যোগ দিলেও আজাদের নেতৃত্বে নির্দলরা বৈঠক করে জানিয়ে দেন তাঁরা বিজেপিতে যাবেন না। নির্বাচন ঘোষণার পরে পেটলায় সভা করে সমস্ত নির্দলকে দলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রবিবাবু। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পতাকা তুলে না দেওয়ায় নির্দলরা কতটা দলের হয়ে মাঠে ফিরবেন তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তবে নিশীথবাবুকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। নিশীথ কাঁটা তুলতে একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকেই সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে তৎপর হয় তৃণমূল। আজাদকে নিয়ে জেলা সভাপতির বাড়িতে বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপরই বদলে যায় পরিবেশ। এরপরেই মাদারের বিবাদমান গোষ্ঠীর সঙ্গে এক হয়ে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়ে আজাদ বাহিনী।