পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা সোহন ওঁরাও, মহাজন ওঁরাও বলেন, এখানে জলের ভীষণ কষ্ট, রাস্তাঘাট খারাপ, বাড়িঘরেরও অবস্থা ভালো নয়। স্বাস্থ্য পরিষেবারও বেহাল হয়ে দশা রয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রদীপবাবু এসে গ্রামটিকে দত্তক নিয়ে মডেল ভিলেজ করার কথা বলেছিলেন। সবাই আমরা আশা করেছিলাম যে এবার হয়ত আমাদের দুঃখ দুর্দশা ঘুচবে। কিন্তু সামান্য রাস্তার কাজ করা হলেও আর কিছুই হয়নি। আদৌ মডেল ভিলেজ হবে কিনা তাও আমরা জানি না। ছোট রাস্তার কাজ ছাড়া কিছুই হয়নি। এব্যাপারে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ডুডুমারিকে মডেল ভিলেজ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আমি আমার সংসদ তহবিল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদকে প্রথম ধাপের কাজের জন্য ৪৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু জেলা পরিষদ ওই টাকা খরচ করেনি। কাজের কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও দেয়নি। তাই দ্বিতীয় ধাপের টাকা দেওয়া যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা বলেন, প্রদীপবাবু কথা দিয়েও কথা রাখেননি। সামান্য টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় কাজ করা হলেও আর কোনও টাকা তিনি দেননি। তাই আর কাজ হয়নি।
ডুডুমারি বস্তিতে ২৮৫টি পরিবারের বসবাস। মডেল ভিলেজের মাধ্যমে এলাকায় পাকা সড়ক, পরিস্রুত পানীয় জল, সেচনালা, বিদ্যুৎ, কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সহ নানাবিধ কাজের মাধ্যমে এই গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও গ্রামটি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। তাই লোকসভা ভোটের আগে বাসিন্দারা এনিয়ে ফের সরব হয়েছেন।