পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য চোপড়া বিধানসভা এলাকাটি দার্জিলিং লোকসভার অন্তর্গত। এখানে গতবার তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া লিড নিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গই এদিন স্মরণ করান শুভেন্দু। এদিনের সভায় দার্জিলিং কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই, মন্ত্রী গৌতম দেব, গোলাম রব্বানি, কিষানগঞ্জের তৃণমূলের প্রার্থী জাভেদ আখতার, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য, বিধায়ক হামিদুল রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চোপড়া বিধানসভা এলাকার ভোটার ২ লক্ষ ২৯ হাজর ১৫৬ জন। গত নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ২০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন। শুভেন্দু বলেন, কোন বাড়ির ফ্রিজে কীসের মাংস আসে তার খবর বিজেপি জানে। কিন্তু এত আরডিএক্স নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা হলো তার খবর তাদের সরকার জানতে পারেনি? বিজেপি করতে পারে না এমন কাজ নেই। ইভিএমে বোতাম টেপার পরে ভিভি প্যাডে দেখে নেবেন প্রতীকের ছবি। মমতা পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়েছেন। উন্নয়নের জোয়ার এনে দিয়েছেন। এখানেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
হামিদুল রহমান তাঁর ভাষণে বলেন, লক্ষ্মীপুর, ঘিরনিগাঁও ও দাসপাড়া নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গে চোপড়ার নাম কলঙ্কিত হয়ে আছে। দুষ্কৃতীদের নামে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস তাদের ধরতে পারছে না। বালি মাফিয়া নিয়ে চোপড়ার নাম বদনাম হচ্ছে। কিন্তু এক নম্বর বালি মাফিয়া চোপড়া থানার পুলিস নিজেই। এখন নির্বাচন না থাকলে ২৪টা দাঁত বের করে নিতাম। অমলবাবু বলেন, ঘুমিয়ে থাকলে হবে না। প্রতিটি বুথ পাহারা দিন। একটা তৃণমূল কর্মীর গায়ে আঘাত লাগলে আমরা ছেড়ে দেব না। গৌতম দেব বলেন, বিজেপি এমপি এলকার কোন কাজই করেননি। ২৫ কোটি টাকার মধ্যে ৬ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। রব্বানি বলেন, ১৮ তারিখে আমাদের পরীক্ষা। পরীক্ষায় পাশ করলে ভালো থাকবে আমাদের দেশ। অমর সিং রাই বলেন, এতো দিন পাহারে উন্নয়ন হয়নি। দিদি উন্নয়ন করেছেন। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আমি আপনাদের ভোট চাইছি।
এদিন চোপড়ার সভা সেরে শুভেন্দু রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে কালিয়াগঞ্জ ও উদয়পুরে সভা করেন। উদয়পুরে তিনি বলেন, নিশ্চিত ভোটার, অনিশ্চিত ভোটার, দোদুল্যমান ভোটার, কর্মসূত্রে বা শিক্ষার জন্যে বাইরে থাকা ভোটারদের জেলায় আনুন। কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সদস্যরা মনে রাখবেন আপনার বুথে প্রার্থী হেরে গেলে আপনার নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। এখানে কারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন? একজন দিল্লিতে থাকেন। পরিযায়ী পাখির মতো ভোটে এসেছেন। ওঁর পাড়ায় সভা করে এলাম লোকে বলছে হাতে যখন ক্ষমতা ছিল তখন ফোনটা পর্যন্ত তিনি রিসিভ করতেন না। এখন ভোট চাইতে এসেছেন। আরেক জন, কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছে বলে হতাশ। আর বিজেপি এমন প্রার্থী দিয়েছে যে, দুবার হেরেছেন। এবার হ্যাট্রিক করবেন। কানাইয়ালাল ভূমিপুত্র। কোনও ভোটে কোনও দিন হারেননি। একটু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোটটা করুন।