গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা যীশু হেমব্রম বলেন, আমরা ৩০ বছর ধরে ভুগছি। গ্রামের মানুষদের বোকা বানিয়ে নেতারা রাস্তা নিয়ে রাজনীতি করেছেন। এবারে আমরা চারটি গ্রামের ভোটাররা একত্রিত হয়ে স্থির করেছি আগে রাস্তা হবে তারপর ভোট দেব। নির্ভরযোগ্য কোনও আশ্বাস না মিললে ভোটের লাইনে একজনও দাঁড়াব না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাস্তা বানানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা রাস্তা পাইনি। মঙ্গলবার সকলে মিলে বৈঠক করেছি। রবিবার ফের বসব। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি স্থির হবে।
দিলদার শেখ বলেন, একমাত্র রাস্তাটি চলাচল অযোগ্য হয়ে আছে। নেতাদের অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে ডান-বাম সকলেই ক্ষমতায় এলে রাস্তা বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। গ্রামে কাউকেই আমরা প্রচার করতে দেব না।
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, আমি বিধায়ক থাকার সময়ে রাস্তার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত হয়নি। আমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ভোটের পর এনিয়ে ওই দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ে গ্রামে সেতু করেছি। ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ায় আর করতে পারিনি। তবে ভোট বয়কট করলে হবে না। আমরা গ্রামে গিয়ে ভোটরদের বোঝাব। বিডিও বাসুদেব সরকার বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের বোঝাব, তাঁরা যাতে ভোটদান থেকে বিরত না থাকেন।
নরদাস বুথে চারটি সংসদ রয়েছে। নরদাস, টুটিকাটি, তালপুকুর ও নওগাঁ এই চারটি গ্রামে আদিবাসী, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি সংখ্যায় রয়েছেন। ভোটার প্রায় ১৫০০। তাঁরা পাকা রাস্তার দাবিতে অনড় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার তৃণমূল এখানে ক্ষমতা পায়। গ্রামবাসীদের দাবি, ভোটের পর একবারও কোনও জনপ্রতিনিধি গ্রামে পা রাখেননি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। গরমকালে রাস্তা ধুলোয় ভরে থাকে। বর্ষায় জলকাদায় চলাচল করা যায় না। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চায় না। কেউ অসুস্থ হলে ভ্যানে করে নিয়ে যেতে হয়। পড়ুয়ারা সাইকেল চালিয়ে যেতে গিয়ে মাঝেমধ্যে আহত হয়। বারবার বলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রামবাসীরা এবার উল্টো পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।