বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবার পানিশালায় গিয়ে দলীয় কর্মীর বাড়ির উঠোনে ঘরোয়া বৈঠক করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেন। চা খাওয়ার সেই ঘরোয়া আড্ডাতেও তাঁর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন পরেশবাবু। তবে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রার্থী নীরব থাকছেন। কর্মীদের উদ্দ্যেশে হাঁকডাক, নির্দেশ কোনও কিছুই তাঁর নেই। তাতে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কী নতুন দলে নিজেকে খাপ খাওয়াতে এখনও পরেশবাবুর অস্বস্তি হচ্ছে? দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরাও বৈঠকে এসে অনেকেই পরেশবাবুর সঙ্গে সহজভাবে মিশতে পারছেন না। কোথাও যেন একটা দূরত্ব থেকে যাচ্ছে।
এটা বুঝতে পেরেই হয়তো এদিন পার্টি অফিসে ঢুকেই দলীয় কর্মীদের আঙুল উঁচিয়ে কড়া ধমক দেন রবীন্দ্রনাথবাবু। মুহূর্তে বদলে যায় ছবি। এতক্ষণ যাঁরা পার্টি অফিসের মধ্যে কোন্দল করছিলেন তাঁদেরকেই গাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে আসেন দলের জেলা সভাপতি। দলের কাজটা ঐক্যবদ্ধভাবে করার নির্দেশ দেন। বাধ্য ছাত্রের মতো রবীন্দ্রনাথবাবুর নির্দেশ শোনেন কর্মীরা। ব্লক সভাপতি খোকন মিঞা বলেন, দলের জেলা সভাপতি যে নির্দেশ দেবেন সেটা সকলকেই মানতে হবে। এরপর পরেশবাবুকে নিয়ে বলরামপুরের উদ্দেশে রওনা হন রবীন্দ্রনাথবাবু। এভাবেই জেলা সভাপতির পিছনে ঘুরে ঘুরে ভোট প্রচার করছেন কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী।