কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবারই মালদহ কলেজের ছাত্র সংসদ আয়োজিত বসন্ত উৎসবে উপস্থিত হয়ে নিজেদের রাঙিয়ে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মৌসম নুর ও মোয়াজ্জেম হোসেন। মৌসম শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদহ সহ একাধিক জায়গায় দোল উৎসবে তিনি উপস্থিত থাকবেন। দোল পূর্ণিমাকে সামনে রেখে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও বিজেপি’র কর্মকর্তারা ইংলিশবাজার শহরে দোল উৎসব পালন করবেন। কংগ্রেসের দুই প্রার্থীও দোল উৎসবকে জনসংযোগে ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। বলা বাহুল্য, এসব আয়োজনে এবার ভোট প্রচারে বাড়তি রং লাগছে।
সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য দলীয়স্তরে দোলকে ব্যবহার করে প্রচার করবে না। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী মৌসম নুর বলেন, এদিন মালদহ কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের বসন্ত উৎসবে ডেকেছিল। সেখানেই রঙ খেলেছি। বৃহস্পতিবার বেশকিছু দলীয় কর্মসূচি আছে। সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় রঙের উৎসবে যোগ দেব। এ জেলার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগ। তাই যে কোনও ধরনের অনুষ্ঠানেই তাঁরা আমাকে ডাকেন। আমিও যাই। রংয়ের সবক’টি উৎসবেই যাওয়ার চেষ্টা করব। সামনে ভোট। আমি প্রার্থী। ফলে কোথাও গেলে ভোটের কথা হবে সেটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অনেকগুলি জায়গায় রঙের উৎসবে যাওয়ার আমন্ত্রণ আছে। উৎসবের আমেজে ভোটপ্রচারের বিষয় নেই। তবে ভোটের সময় কোনও জমায়েতেই রাজনীতির কথা ছাড়া হয় না।
কংগ্রেসের উত্তর মালদহের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী বলেন, আমরা রং খেলাকে কেন্দ্র করে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। তবে অনেক মানুষই বাড়িতে আসেন রং দিতে। মানুষ যেখানে ডাকবেন সেখানে যাব।
বিজেপি’র জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে রং খেলার দ্বিতীয় দিন স্বয়ংসেবকদের উদ্যোগে দোল উৎসব হয়। এবারও তা করা হবে। সেখানে দলীয় সদস্যরাও থাকবেন। আমরা বাড়ি বাড়ি রং নিয়ে যাব। রাজনীতি অপেক্ষা উৎসবই সেখানে প্রাধান্য পাবে। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র অবশ্য বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি নেই। তবে নেতাকর্মীরা সামাজিক উৎসবে যদি নিজেরা অংশ নেন সেকথা আলাদা।
এবারের রঙের উৎসব ভোট মরশুমের ঠিক মাঝে পড়েছে। সাধারণত, রং খেলার দু’দিন ছুটি ছুটি হাওয়া থাকে। মানুষ উৎসবের মেজাজে থাকে। ভোটের মুখে জনসংযোগের এমন সুযোগ সব দল ও প্রার্থীর কাছেই বাড়তি পাওনা। ফলে ভোটের কারণে এবার রংয়ের উৎসব আরও বেশি করে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বলা বাহুল্য। বহু মানুষের জমায়েতের মধ্যে উপস্থিত হয়ে আমি তোমাদেরই লোক বলে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার সুযোগ কেউই ছাড়তে চাইছেন না। বস্তুত, বুধবার থেকেই জেলায় রং খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিনই মালদহ কলেজের বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চুটিয়ে রং খেলেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম। পরে সেখানে তৃণমূলের আরেক প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনও গিয়েছিলেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও একাধিক অনুষ্ঠানে রং খেলতে যাবেন ওই দুই প্রার্থী। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ, গাজোল সহ একাধিক জায়গায় দোল উৎসবকে সামনে রেখে জনসংযোগ কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে।