কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও কংগ্রেসের আদর্শ, জেলায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন দীপা। তিনি বলেন, বহু লড়াইয়ের মাটি রায়গঞ্জে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে আমার নাম এসেছে। এতে আমি গর্বিত। এই জেলা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জেলা। কংগ্রেসের জেলা। তাঁর আদর্শ, কংগ্রেসের আদর্শ। প্রিয়দা আজও আমাদের মধ্যে আছেন। তাঁর দেখানো পথেই আমরা চলব।
দীপা রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে প্রার্থী হচ্ছেন এই খবর আসার পর থেকেই কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনির বাড়িতে ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তিনি বাড়িতে চলে আসায় বুধবার সকালেই কিছু কর্মী-সমর্থক সেখানে পৌঁছে যান। এরপর সেখান থেকে দীপাদেবী প্রথমেই জাগ্রত বয়রা কালীমন্দিরে পুজো দেন। এদিকে, এনএস রোডের দলীয় কার্যালয়ে ততক্ষণে কয়েকশো কর্মী সমর্থক হাজির হয়েছেন। সেখানে এসে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রথমনাথ রায়, কালিয়াগঞ্জ শহর কংগ্রেস সভাপতি সুজিত ঘোষদের সঙ্গে বৈঠক করেন দীপা। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক সেরে তিনি সেখান থেকে বেলা ১২টা নাগাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আসেন। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক পবিত্র চন্দ সহ আরও নেতা-কর্মী। মহিলা কর্মীরা দীপাদেবীকে কংগ্রেস কার্যালয়ের গেট থেকে বরণ করে ভিতরে নিয়ে যান।
সেখানে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীপা বলেন, আমরা কেন্দ্রে ও বাংলায় ক্ষমতায় নেই। সাংগঠনিক ভাবে কংগ্রেস দুর্বল। আগে অনেকেই আমাদের দলের সিম্বলে জিতেছিলেন। পরে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। এটাই আমাদের পুঁজি। এদিন এইমস প্রসঙ্গও তোলেন দীপা। তিনি বলেন, আমাদের অন্যতম ইস্যু এইমস। জেলার মানুষ জানে কারা এখানে এইমস গড়তে দেয়নি। কংগ্রেস সরকারে এলে আবার রায়গঞ্জে এইমস ফিরে আসবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসন থেকে দীপা দাশমুন্সি কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়েছিলেন। তিনি বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের কাছে ১৬৩৪ ভোটে পরাজিত হন। তার আগে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে লোকসভায় জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর আগে ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে পর পর দুই বার কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। প্রিয়বাবুর হাত ধরে দীর্ঘ দিন ধরে দীপা দাশমুন্সি এই জেলায় রাজনীতি করে আসছেন। এবারে সেই প্রিয়বাবুর নামেই তিনি নির্বাচনী লড়াইতে নামতে চান। এদিন সেকথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। দীপা বলেন, রায়গঞ্জ আর প্রিয়রঞ্জন সমার্থক। তিনি এই জেলার ভূমিপুত্র। জেলার উন্নয়নে তাঁর বহু অবদান রয়েছে। বিগত পাঁচ বছর যিনি এই কেন্দ্রের সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন জেলার জন্য কী করেছেন? উত্তর পাবেন না। প্রিয়দার দেখানো পথেই লড়াই হবে আমাদের।