কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মিলিদেবী বলেন, আমি লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর আগে মেসোর অনুমতি নিয়েছিলাম। আমি মেসোর কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইলে তিনি আমাকে ‘গুড লাক’ বলেছেন। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক মধুর রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াইটা একেবারে আলাদা। যেই জিতুক সম্পর্ক আমাদের অঁটুট থাকবে। এনিয়ে কখনই সমস্যা হবে না। দশরথবাবু বলেন, মিলি আমার সম্পর্কে ভাগ্নি হয়। ছোট থেকেই সে আমার প্রিয়। ছোটবেলায় ওর যেকোনও জিনিসের আবদার আমিই মেটাতাম। পারিবারিক সম্পর্ক কতটা ভালো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ ওই ছোট্ট মিলি বড় হয়ে গিয়েছে। সে আজ আমার প্রতিপক্ষ। যাই হোক রাজনৈতিক ময়দান আলাদা। আমরা কেউই কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। তবে এটাও ঠিক যেই জিতুক আমাদের সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
দশরথবাবু রাজনৈতিক ময়দানে দাপুটে নেতা বলে পরিচিত। তিনি পাঁচ বছর ধরে সংসদ সদস্যের পদ সামলাচ্ছেন। এর আগে তিনি আরএসপি দলে থাকার সময় কয়েকবার বিধায়ক ও দু’বার রাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন। অন্যদিকে, আরএসপি’র দাপুটে নেতা মনোহর তিরকি দীর্ঘদিন আলিপুরদুয়ারের সংসদ সদস্য ছিলেন। সেই সুবাদে তাঁর একটা আলাদা রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। সেটাই এখন মেয়ে মিলি তিরকির কাজে আসছে। কারণ দশরথবাবু রাজনৈতিক ময়দানে প্রবীণ। কিন্তু মিলিদেবী নবীন। তাই মনোহরবাবুও তাঁর মেয়ের হয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলিদেবীর মা এবং দশরথবাবুর স্ত্রী নিজের বোন। সেই সূত্রেই মেসো এবং ভাগ্নির সম্পর্ক। দুই পরিবারই পৃথক রাজনীতি করলেও যেকোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে দশরথবাবু অথবা মনোহরবাবু না থাকলে সেই অনুষ্ঠানের দিন তারিখ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। এমন দুই পরিবারে ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া হলেও তাঁদের মধ্যে তা দেওয়া নেওয়াও হয়ে থাকে। সারাদিন প্রচারের পরও ভাগ্নির খোঁজ নেন দশরথবাবু। ভাগ্নিও মেসোর খোঁজ নিতে ভোলেন না। সকাল থেকেই দশরথবাবু মিটিং মিছিলে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন। কিন্তু পেশায় গৃহবধূ মিলিদেবী সকাল সকাল বাড়ির সমস্ত কাজ সেরে তারপর প্রচারে বেরচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কে জেতে মেসো না ভাগ্নি? তা জানার জন্য নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত সকলকে অপেক্ষা করতে হবে।