বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভিড়ে ঠাসা পাহাড়ের ওই স্টেডিয়ামে যৌথ নির্বাচনী সভায় অরূপবাবু তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে সঙ্গে নিয়ে ‘জয় গোর্খা’ বলে সম্বোধন করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। সেই উচ্ছ্বাস দেখে অরূপবাবু বলেন, জনতা বলছে প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, বাংলায় তাদের দল ৪২ এ ৪২ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিতে চাই, ৪২ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট যাবে পাহাড় থেকে। এদিনের নিশানায় ছিল বিজেপি। বর্তমান সংসদ সদস্য তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার দীর্ঘ বছরে অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে অরূপবাবু বলেন, পাহাড়ের মানুষ দু’বার বাইরের প্রার্থীকে জিতিয়েছেন। কিন্তু দু’বারই পরিযায়ী সেই প্রার্থীর দেখা পাননি পাহাড়ের মানুষ। প্রার্থী অমর সিং রাইকে দেখিয়ে অরুপবাবু বলেন, এবার আপনারা ভূমিপুত্র প্রার্থী পেয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই কর্মীসমর্থকদের ভিড়ে উৎসবের চেহারা নেয় দার্জিলিং। গোটা স্টেডিয়ামে তিলধারনের জায়গা ছিল না। অরূপবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের মানুষকেই প্রার্থী করেছেন। বাকিরা বাইরে থেকে আসেন। পাহাড় ট্যুরিস্ট প্রার্থীরা আসেন। পাহাড়ের স্থানীয় মানুষের সমস্যা তাঁরা দেখতে পান না। পাহাড়ে কোনও সমস্যা হলে ওই প্রার্থীরা দিল্লি চলে যান। তাই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের এই সমস্যা দেখে এখানে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করেছেন। সেই প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব আপনাদের। এখানে বিমল গুরুং ও জিএনএলএফ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেছে বিজেপি’কে জেতানোর জন্য। তিনি বলেন, পাহাড়ের ১১টি জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তা পালন করেনি। প্রকাশ্য সভায় বিনয় তামাং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এবার অমর সিং রাইকে তিন লক্ষ ভোটে জেতাব। মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই সভায় বিনয় বলেন, ওনার জন্য পাহাড়ে উন্নয়ন হয়েছে। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক কাজ পেয়েছেন। ১০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসবেন। ওই দিন পাহাড়ে বিজেপি তার ‘হালত’ বুঝতে পারবে।