বিএনএ, কোচবিহার: কমল গুহের পরিবারের এখন কেউ ফরওয়ার্ড ব্লকে নেই। কমলবাবুর ছেলে উদয়ন গুহ এখন তৃণমূলের বিধায়ক। তাঁর মেয়েও তৃণমূল কংগ্রেসে। এবারের ভোটেও ফরওয়ার্ড ব্লকের ভরসা সেই কমলবাবুই। প্রয়াত জননেতা কমল গুহকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কোচবিহারের বাম প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহ অনেকদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর পুত্র দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তবু ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের দাবি, জননেতা হিসেবে দিনহাটা সহ গোটা কোচবিহার জেলাবাসীর আবেগে ও শ্রদ্ধায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। সংগঠন তলানিতে এসে ঠেকলেও সেই প্রয়াত নেতার স্মৃতিকে হাতিয়ার করে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব প্রতিটি ভোটযুদ্ধে নামে। এবার লোকসভা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হল না। সেই আবেগকে এবারও কাজে লাগাতে চাইছে ফব শিবির। সেই মতো এদিন সকালে দিনহাটায় কমল গুহর স্মৃতি সৌধে মালা দিয়ে গোবিন্দবাবু তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিতে কোচবিহারে আসেন। গোবিন্দবাবু বলেন, কমল গুহ গণ আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তিনি পার্টিরও সংগ্রামী নেতা ছিলেন। এদিন সকালে গোবিন্দবাবু তাঁর সতীর্থদের নিয়ে দিনহাটায় কমল গুহ’র স্মৃতি সৌধ ও নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে দিনহাটায় একপ্রস্থ ভোট প্রচারও করেন। তারপর তিনি কোচবিহারের উদ্দ্যেশে রওনা দেন। কোচবিহার শহরে সিপিএম নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। এরপর তাঁরা মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে হাজির হন। সেখানেই তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বাম প্রার্থীর দাবি আমরা জিতলে ফাঁসিরঘাটে সেতু তৈরির দাবিকে অগ্রাধিকার দেব। ওখানে সেতু তৈরি করতেই হবে। এব্যাপারে আমরা সবরকম উদ্যোগ নেব। পাশাপাশি রায়গঞ্জে এইমস ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবি আমাদের রয়েছে। সেই দাবি পূরণের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব। যুবদের কাছে টানতে এদিন ফব প্রার্থী কোচবিহারে রাজ আমলে চিলা রায়ের মতো ব্যক্তিত্বের সাহসিকতার কথা সামনে এনে কোচবিহারে মিলিটারি আকাডেমি তৈরির দাবিও করেন। তাহলে এখানকার যুবকদের সামনে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পথ খুলে যাবে। এখানকার যুবকদের জন্য সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। তাঁর দাবি জেলার ইতিহাসকে মর্যাদা দিয়ে এখানকার যুবদের জন্য এই দিকটি এতদিন কেউ ভাবেনি।