বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে জেলায় ভারী বর্ষণে রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এতদিন হলেও রাস্তা সংস্কার করতে প্রশাসন উদ্যোগ নেয়নি। ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলের নেতারা এলে তাঁদের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরা হবে। ভোটের পর রাস্তার সংস্কার করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
এলাকার বামনেতা রফিকুল আলম বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে প্রশাসন চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। ২০১৭ সালের বর্ষায় ছত্রক ও সায়রা গ্রামের দু’টি স্থান ভেঙে যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত সেখানে মাটি ভরাট করা হয়নি। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যর্থতা নিয়ে মানুষকে বোঝাব।
সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়াহেদা খাতুন বলেন, ভারী বৃষ্টিতে গ্রামের বিভিন্ন অংশের রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছত্রক ও সায়রা গ্রামের রাস্তা সেসময়ে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এখন এলকার মানুষকে চরম অসুবিধা করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সাময়িকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ভোটের পর আমরা এনিয়ে পদক্ষপ করব।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের জুবেদা বিবি বলেন, ২০১৭ সালে গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেসময়ে ব্লকের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলির তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ভাঙার রাস্তার তালিকা এসেছে। ওসব ওপর মহলে পাঠানো আছে। ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় এখন কী অবস্থায় আছে তা বলতে পারব না।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা বর্ষায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাছে এব্যাপারে জেনে পদক্ষেপ করা হবে।
ভাঙা রাস্তাটির পশ্চিমদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সায়রা, ডারোল, চকসাতন, কুশল গ্রাম রয়েছে। পূর্বদিকে আছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ছত্রক, গাং নদিয়া, আলিনগর, তুলসিহাটা গ্রাম। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ এবং ২ ব্লকের ওই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের এই রাস্তার ওপরেই নির্ভর করতে হয়। তুলসিহাটায় বীরেন্দ্রকুমার মৈত্র উপবাজার রয়েছে। তুলসিহাটাতে রবিবার হাট বসে। প্রতিদিনই মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যেই দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদেরও যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। সেসঙ্গে মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়েও তাঁদের পরিবারকে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিছিন্ন হয়ে থাকা ওই রাস্তা দিয়ে কোনওমতে সাইকেল, মটর বাইক নিয়ে যাওয়া গেলেও অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারছে না। গ্রামে উৎপাদিত শাকসব্জি কৃষকরা হাটেবাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না।