পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, আমি এব্যাপার অভিযোগ পেয়েছি। জলের সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি চলতি প্রকল্পের মধ্যে পড়ে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এনিয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারব না। বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক তথা বালুরঘাটের মহকুমা শাসক ঈষা মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা আমার নজরে আসতেই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বালুরঘাট পুরসভা প্রাক্তন বিরোধী দলনেত্রী আরএসপি’র সুচেতা বিশ্বাস বলেন, বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ড রাতারাতি কিছু বাসিন্দাকে বেছে জল প্রকল্পের সংযোগ দিচ্ছে। এটা আমাদের নজরে আসতেই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছি। একেবারে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ওই জল সংযোগ নেওয়ার জন্য কত টাকা নেওয়া হবে, কিভাবে ওই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে তার কোনও সুনির্দিষ্ট নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। গোটা প্রক্রিয়াটিই অবৈধভাবে হচ্ছে। পুরসভার কিছু লোক এতে জড়িত আছে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বপন বিশ্বাস বলেন, প্রশাসক বোর্ড শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। এখনও শহরের একাধিক স্থানে জলের পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যে কীকরে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে জানি না। ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের রাজেন শীল বলেন, আমরা বোর্ডে নেই। কী হয়েছে জানি না। ওসব প্রশাসকই বলতে পারবেন।
বালুরঘাট পুরসভায় পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ এখন শেষ হয়নি। এরই মধ্যে জলের সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি শহরের একাধিক বাসিন্দাকে বোর্ডের তরফে পুরসভায় ডেকে পাঠানো হয়। জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য তাদের কাছে টাকাও দাবি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন টাকা জমা করেছেন। তবে কত টাকা সেটা পুরসভার কোনও আধিকারিক বলতে চাইছেন না। প্রায় ১৫০০’র মতো আবেদনপত্র জমা পড়ছে। আচমকাই কয়েকজনকে ডাকায় বাকিদের মধ্যে এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে পুরসভা একটি বাড়িতে সম্প্রতি পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু সেখানে ট্যাপকল খুললেই নোংরা জল বেরচ্ছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর এভাবে জল সংযোগের বিষয়ে নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সকলেই সরব হয়েছে।